প্রাচীন ভেষজ টোটকায় দাঁতের ক্ষতি না করে সৌন্দর্য বাড়ানোর সহজাত কিছু কৌশল জেনে নিন

অনলাইন ডেস্ক, ১৬ জুন।। ধবধবে সাদা দাঁত কে না চায়। মুখের সৌন্দর্যের অন্যতম হলো শুভ্র দাঁত। কিন্তু অনেক সময় কালো বা হলদে দাঁতের কারণে হাসতে গিয়ে পড়তে হয় দ্বিধা-লজ্জায়। প্রাচীন ভেষজ টোটকায় দাঁতের ক্ষতি না করে দাঁতের সৌন্দর্য বাড়ানোর সহজাত কিছু কৌশল আজ জেনে নেওয়া যাক।

অয়েল পুলিং-
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার আগে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি প্রয়োগ করুন। ক্যাভিটিজ প্রতিরোধের পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ি মজবুত রাখতে পদ্ধতিটি বেশ কার্যকর। অয়েল পুলিং শরীর ডিটক্সিফাই রাখতে, হরমোন পরিবর্তনে সাহায্য করতে, এমনকি চোয়ালের ব্যাথা নিরাময় করতেও বেশ ভালো কাজ দেয়। অয়েল পুলিং করার জন্য সবচেয়ে ভাল নারকেল তেল। এটি ট্রিগ্লিসাইরাইড ও উচ্চ মানের লাউরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। ফলে এটি জীবাণুনাশক এবং সেইসঙ্গে মাড়ির প্রদাহ দূর করে।

অয়েল পুলিং যেভাবে করবেন-
প্রথমে এক থেকে দুই টেবিল চামচ তেল মুখে নিন। মুখের চারপাশে তেল নাড়াচাড়া করতে থাকুন পনেরো থেকে বিশ মিনিট। এটি বেশ দীর্ঘ সময় মনে হতে পারে। তবে শুরুর দিকে ৫-১০ মিনিট করুন। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া ও প্লাক দূর করার জন্য এ-সময়টুকু লাগবেই। তবে খেয়াল রাখবেন মাউথওয়াশ বা জল মুখে নিয়ে যেভবে গড়গড়া করেন, সেটা করবেন না।

কারণ তেল তুলনায় ভারী, এতে মুখের পেশিতে টান লেগে যেতে পারে। ব্যবহৃত তেল কোনোভাবেই গিলে ফেলা যাবে না। কারণ, এর সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া, বিষাক্ত উপকরণ ও প্লাক মিশে থাকে। সব শেষে তেলটা কুলকুচি করে বেসিনে না ফেলে কোনও আবর্জনা ফেলার জায়গায় ফেলুন।

অয়েল পুলিং শেষ হলে যা করবেন-
মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে হালকা গরম জল দিয়ে কুলকুচা করে নিন। সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিলে আরও ভালো। তেলটা ফেলে দেওয়ার পর ভালভাবে মুখ ধুয়ে নিন। চাইলে দাঁত মাজতে পারেন। তবে খানিকটা সময় বিরতি দেওয়া ভাল। আর অবশ্যই একটি আলাদা ব্রাশ রাখুন, যেটা শুধু অয়েল পুলিংয়ের পরই ব্যবহার করবেন, অন্য সময় নয়।

পদ্ধতিটি ক্ষতিকর নয়। তবু যদি তেল কারও জন্য স্পর্শকাতর হয়ে থাকে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায়, তা এড়িয়ে চলাই ভালো। এ সময়েও ওরাল হেলথ ভালো রাখাটা জরুরি, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে। শিশুদের জন্যও এটি নিরাপদ। তবে সেই শিশুদের জন্য, যারা ব্যবহৃত তেল গিলে ফেলবে না।

কেবল মুখগহ্বর ও দাঁতের সুস্থতায় নয়। শরীরের অন্যান্য অংশেরও উপকারে আসে অয়েল পুলিং। তাই একটি ভালো ওরাল হেলথ রুটিন হিসেবে অয়েল পুলিং অবশ্যই দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?