স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১২ জুন।। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে মোদি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ক্ষমতায় আসলে জ্বালানির মূল্য হ্রাস করা হবে। মূল্য হ্রাস করা তো দূরের কথা মোদি সরকারের সাত বছরে জ্বালানির মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি হতে হতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে।
তাতে ক্ষোভে ফুঁসছেন দেশবাসী। জ্বালানির মূল্য সর্বকালের রেকর্ড গড়লো রাজ্যে। শনিবার পেট্রোলের এক্সট্রা প্রিমিয়ামের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি লিটার ১০০ টাকা ২৪ পয়সা।
আগামী কিছু দিনের মধ্যেই সাধারণ পেট্রোলের মূল্য সেঞ্চুরি হাঁকাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না
প্রায় প্রতিদিন যে ভাবে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে তাতে যান চালকসহ সাধারণ মানুষের মাথায় বাজ পড়ার উপক্রম। করোণা ভাইরাসের সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন বাড়ছে পেট্রোল- ডিজেলের দাম। এই হারে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিতে চিন্তার ভাঁজ সর্বত্র।
ইতিমধ্যেই জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রতীবাদে সামিল হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলি। কিন্তু তারপরও জ্বালানির মূল্য হ্রাস পাওয়ার কোন লক্ষণ নেই। শনিবার আগরতলায় সাধারণ পেট্রোলের লিটার প্রতি মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টাকা ৩০ পয়সা। অন্যদিকে এক্সট্রা প্রিমিয়ামের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে লিটার প্রতি ১০০ টাকা ২৪ পয়সা।
পেট্রোলের পাশাপাশি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত। তাতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে কৃষিকাজেও যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। সে কারণে কৃষকদের জন্য ডিজেল প্রয়োজন। এভাবে পেট্রোল- ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘটলে জনজীবনে দুর্দশা আরো চরম আকার ধারন করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্ষমতায় আসলে তারা পেট্রোল- ডিজেলের দাম কমাবে। পূর্ববর্তী ইউপিএ সরকারের আমলে পেট্রোল- ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় নরেন্দ্র মোদির সহ বিজেপি দল কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার পেট্রোপণ্যের মূল্য হ্রাস করা তো দূরের কথা প্রতিনিয়ত পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে চলেছে।
সাধারণ মনুষের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশের যে স্লোগান তুলেছে সেই স্লোগানের সঙ্গে বাস্তবের কোন মিল রয়েছে কি? জনগণ কেন্দ্রীয় সরকারকে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।
করোনা সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন তলানিতে এসে ঠেকেছে ঠিক সেই সময়ে ক্রমাগত পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। এর প্রভাব নিশ্চিতভাবে সাধারণ মানুষের ওপরও আছড়ে পড়তে বাধ্য।