স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ৮ জুন।। তেলিয়ামুড়ার জঙ্গলে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃত ব্যক্তির নাম সুনীল কর্মকার। তেলিয়ামুড়া ভানগোনা এলাকায় বন্যহাতির তাণ্ডবে মৃত্যু হয়েছে আরো এক নিরীহ গ্রামবাসীর। সোমবার জঙ্গলে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়েছিল দুই প্রতিবেশী।
লাকড়ি সংগ্রহ করতে গেলে তাদের তাড়া করে। একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও অপরজন প্রাণ বাঁচাতে পারেনি। খবরে জানা যায়। তেলিয়ামুড়া ভূমিহীন কলোনির বাসিন্দা সুনীল কর্মকার এলাকারই বলদেব ভূমিজকে সাথে নিয়ে লাকড়ি সংগ্রহ করতে ভানগুনার জঙ্গলে যান। কিছুক্ষণ পরে জঙ্গলে তারা এক বন্য হাতিকে দেখতে পায়।
সুনিল কর্মকারের সাথে থাকা অপর ব্যক্তি বলদেব কোনোক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে পারলেও সুনিল কর্মকার পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়নি। বলদেব পালিয়ে এসে খবর দেয় বনদপ্তরের এ.ডি.এস টিমকে। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর মঙ্গলবার সকালে বনদপ্তর এ.ডি.এস টিম, এলাকাবাসী এবং হাতি তাড়ানোর কাজে নিযুক্ত এলাকার ভলান্টিয়াররা জঙ্গলে খুঁজতে গিয়ে সুনীল কর্মকারের নিথর দেহ খুঁজে পায়।
সুনীল কর্মকারের সাথে থাকা অপর ব্যক্তি বলদেব ভূমিজ জানান, সে জঙ্গলে একটি হাতি দেখেছিল।সে নিজের জীবন বাঁচিয়ে কোনক্রমে পালিয়ে আসতে পারলেও সুনীল কর্মকার আর বেরোতে পারেনি। ঘটনার খবর যায় তেলিয়ামুড়া থানায় এবং তেলিয়ামুড়া বণদপ্তরে।ঘটনার খবর পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ এবং বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
পুলিশ এবং বণদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সুনীল কর্মকারের নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের আধিকারিক জানান,হাতির আক্রমণে মৃত্যু হলেও হতে পারে ,আবার এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন রহস্য থাকতে পারে।সব কিছুই ময়না তদন্তের পর এবং পুলিশি তদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সুনীল কর্মকার সবসময়ই মদমত্ত অবস্থায় থাকতো। সুনীল কর্মকার এই গ্রামে একাই বসবাস করত।সে জঙ্গল থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে দিনাতিপাত করতো।ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বন্যহাতির তাণ্ডবে মারাত্মক সমস্যায় ওইসব এলাকার লোকজন।
যদিও বনদপ্তর থেকে মাইকযোগে এলাকায় সর্তকতা করা হয়েছিল যে কেউ যেন এই জঙ্গলে না যায়, কারণ হাতির অবস্থান এই জঙ্গলে রয়েছে। হাতির আক্রমণে কয়েক মাসে বেশ কয়টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সকলের দাবি স্থায়ী সমাধান করুক বণ দপ্তর।