যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে সরব জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল

অনলাইন ডেস্ক, ১ জুন।। যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে সরব হলেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। সোমবার এ বিষয়ে তারা কথা বলেন। তারপরই পুরো ঘটনার জন্য আমেরিকা ও ডেনমার্কের কাছে উত্তর চেয়েছেন মাঁক্রো। মার্কেল জানিয়েছেন, তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তবে কূটনৈতিক মহলের একাংশের বরাত দিয়ে ডয়চে ভেলে বলছে, মার্কেলের প্রতিক্রিয়া খানিকটা নরম। ৯/১১’র পর থেকে এনএসএ-সহ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে দেশে-বিদেশে বিতর্কের শেষ নেই।

অভিযোগ উঠছে, খোদ আমেরিকার আইনও তোয়াক্কা করে না এনএসএ। তাদের বিদেশি সহযোগীরাও আইন ও নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে ওঠে বেআইনি কার্যকলাপ চালাচ্ছে। এ নিয়ে রবিবার বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছিল ইউরোপের একাধিক গণমাধ্যম। বলা হয়েছিল, ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এনএসএ জার্মানি-সহ একাধিক ইউরোপীয় নেতার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল। এ কাজে তারা সাহায্যে নিয়েছিল ডেনমার্কের গোয়েন্দা সংস্থা এফই-র। সংস্থাটির এক সূত্রই গোটা বিষয়টির তথ্য ইউরোপের কয়েকটি গণমাধ্যমের হাতে তুলে দেয়।

এরপর অনুসন্ধান করে বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসে। তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায়। সোমবার সকাল পর্যন্ত মন্তব্য করেননি জার্মান চ্যান্সেলর। পরে মাঁক্রোর সঙ্গে কথা হওয়ার পরে তিনি মুখ খোলেন। দ্রুত এর উত্তর চেয়েছেন তিনি। মাঁক্রোর বক্তব্য, আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। তা সত্ত্বেও অ্যামেরিকা এ কাজ কেন করল, তার জবাব দিতে হবে। অন্যদিকে, ডেনমার্ক ইউরোপের রাষ্ট্র।

বন্ধু প্রতিবেশী। ফলে তাদেরও উত্তর দিতে হবে, কেন আমেরিকাকে গুপ্তচরবৃত্তিতে সাহায্য করা হলো। তবে বিষয়টি নিয়ে আগেই পদক্ষেপ নিয়েছিল ডেনমার্ক। ২০২০ সালে তৎকালীন গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন সরানো হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এ দিকে সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা এডওয়ার্ড স্নোডেন টুইট করে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপে গেলেই তাকে এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়াতে হবে। গোটা ঘটনার সঙ্গে বাইডেনও যুক্ত ছিলেন বলে তার অভিযোগ।শুধু জার্মানি ও ফ্রান্স নয়, স্ক্যান্ডেনেভিয়ার দেশগুলোও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সুইডেন ও নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধানরাও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে। ডেনমার্কের কাছে জবাব চেয়েছে তারাও।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?