অনলাইন ডেস্ক, ১ জুন।। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য পুনর্বিবেচনার পর জানা গেল, পেরুতে কভিড মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। যা ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিকে মাথাপিছু বিশ্বের সর্বোচ্চ মৃত্যুর হারের দেশে পরিণত করেছে। বিবিসি জানায়, এত দিন করোনায় মৃত ৬৯ হাজার ৩৪২ বলা হলেও আসলে এ সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ভায়োলেটা বেরমুডেজ জানান, পেরুর জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এ সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছে। আরও জানান, সর্বশেষ তথ্য উন্মুক্ত করা তার সরকারের দায়িত্ব। ল্যাটিন আমেরিকায় করোনায় খারাপভাবে আক্রান্ত দেশগুলোর অন্যতম পেরু। ভাইরাস আঘাত হানার পর দেশটির নাজুক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ভীষণ চাপ পড়ে, বিশেষ করে অক্সিজেন সংকট ছিল আলোচনায়।
ফলশ্রুতিতে তথ্য বিশ্লেষণের পর ৬৯ হাজার ৩৪২ মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৬৪ জনে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে কলম্বিয়ায় ৮৮ হাজার ২৮২, বলিভিয়ায় ১৪ হাজার এবং ৪ লাখ ৬০ হাজার মৃত্যু নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে ব্রাজিল। তবে মাথাপিছু মৃত্যুতে ব্রাজিলকে ছাড়িয়ে গেছে পেরু। জনস হপকিন্সের তথ্য বলছে, জনসংখ্যা অনুসারে মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে এক নম্বর পেরু।
এর আগে এই অবস্থানে ছিল হাঙ্গেরি। যেখানে লাখে ৩০০ হাজার মারা গেছে, আর পেরুতে লাখে ৫০০ জনেরও বেশি। আগেই পেরুর জনগণ অভিযোগ তুলেছিল, করোনার সত্যিকারে পরিস্থিতি গোপন করছে সরকার। নতুন পরিসংখ্যান বলছে, তাদের সন্দেহ ঠিক ছিল।হাসপাতাল, আইসিইউ ও কবরস্থানসহ স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত তথ্য এবং জনস হপকিন্সের পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণ করে পেরুর নতুন সংখ্যাটি পাওয়া গেছে।