অনলাইন ডেস্ক, ৩০ মে।। বেঁচে থাকলে ১ জুন ৯৫ বছর বয়স হতো মেরিলিন মনরোর। তখন তিনি হয়তো দেখতেন, তার স্কার্ট স্থায়ীভাবে উড়ছে। তিনি কি খুশি হতেন? যুক্তরাষ্ট্রের পাম স্প্রিংস আর্ট মিউজিয়ামের সামনে রাখার জন্য বানানো হয়েছে অভিনেত্রী ২৬ ফুট উঁচু মূর্তি। যা নির্মাণ হয়েছে ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইঞ্চ’ সিনেমার আইকনিক দৃশ্যের আদলে। যেখানে মেরিলিনের স্কার্ট বাতাসে উড়ছে, তিনি হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন, তারপরও অন্তর্বাস উঁকি দিচ্ছে।
পাম স্প্রিংসের অনেক বাসিন্দা মনে করেন, মূর্তিটি দেখলে খুশি হতেন না বিখ্যাত নায়িকা। যেমনটি তারাও খুশি নন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, পপ কালচারের এই আইকন পর্যটকদের আকর্ষণ করবে, ব্যবসাও বাড়বে। জাদুঘরের সামনে গ্রীষ্মের শেষে মূর্তিটি স্থাপনের কথা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশ এর বিরুদ্ধে আদালতে গেছেন। ২০ জুলাই শুনানির কথা রয়েছে।
ফাইবার গ্লাস দিয়ে তৈরি ভাস্কর্যটি নিয়ে অনেকের অভিযোগ এটি স্থাপনের যথার্থ সময় নয় এখন, ওই এলাকায় তো নয়-ই। মূর্তিটির বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন জাদুঘরের সাবেক পরিচালক লিজ আর্মস্ট্রং। ভ্যারাইটি ডটকমকে বলেন, এটি পাম স্প্রিংসের অস্তিত্বের লড়াই। এ মূর্তি কীভাবে শহরের প্রতিনিধিত্ব করে? জাদুঘর থেকে বের হয়ে দর্শক দেখবে প্যান্টি বের হয়ে আসা দানবীয় মূর্তি, এটি অসম্মানজনক যেন মুখে চড় মেরে বসেছে কেউ।
শিল্পকর্মটি বেশ আগেই তৈরি। প্রায় ১০ লাখ ডলারে কিনে নিয়েছে পাম স্প্রিংসের ব্যবসায়ী। তবে এর ভবিষ্যৎ কী, তা জানার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। মূর্তিটির নান্দনিকতা খারিজ করে অনেকে যৌনতার প্রতীক হিসেবে দেখেন। বিষয়টি নিয়ে ‘মি টু মেরিলিন’ হ্যাশট্যাগে এক পিটিশনে ৫০ হাজারের মতো স্বাক্ষর পাওয়া গেছে, তারা মূর্তিটি প্রদর্শনে আপত্তি জানিয়েছেন।