নতুন প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ৯ জুন৷৷ কাঞ্চনপুরে রিয়াং শরনর্থীদের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে কাছা কেচে মাঠে নামছে নয়টি সংগঠন। নাগরিক মঞ্চ ও মিজো কনভেনশন সহ পাহাড়-সমতলের সব মানুষ একজোটে প্রতিবাদে সরব হয়েছে।তারা বুধবার থেকে শুরু করবে রিলে অনশন।সকাল আটটা থেকে কাঞ্চনপুর মোটর স্ট্যান্ডে শুরু করবে আন্দোলন কর্মসূচি।তবে তা হবে দৈহিক দূরত্বের মান্যতা বজায় রেখে।গত কয়েকমাস ধরেই রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন ইস্যুতে উত্তপ্ত কাঞ্চনপুর।রাজ্য সরকার স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে সব জায়গাতে শরণার্থীদের পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে,সংশ্লিষ্ট জায়গাতেই তাদের দেওয়া হবে পুনর্বাসন।প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাঞ্চনপুর সহ অন্যান্য মাহকুমার নির্দিষ্ট জায়গাতেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।এই সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশও দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী প্রশাসনিক কর্তারা শুরু করেছে কাজ।
বুধবার কাঞ্চনপুরে যখন শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করে মাঠে নামবে মানুষ,তখন প্রশাসনিক কর্তারা থাকবেন মান্দাইয়ের পাটনী এলাকায়।এখানেই শারানর্থীদের একাংশকে দেওয়া হবে পুনর্বাসন।সঙ্গে থাকবে শারানর্থী নেতারাও। একই ভাবে ধর্মনগরেও প্রশাসনিক কর্তারা ছুটে যাবেন শারানর্থীদের জমি নির্ধারণের জন্য। কাঞ্চনপুরের আন্দোলনকারী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই রিলে অনশন চলবে ধারাবাহিক ভাবে,অনির্দিষ্টকালের জন্য।নারী,পুরুষ সবাই এক সঙ্গে সামিল হবে আন্দোলনে। যদি প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে আন্দোলনকারীরাও উপযুক্ত জবাব দেবে।যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, রাজ্য সরকার আমাদের কথা কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না।বারবার বার্তা দেওয়ার পর প্রশাসন নিজেদের জায়গাতে অনড়।গোটা মহকুমার নয়টি সংগঠন স্বরাক লিপি তুলে দিয়েছিলো প্রশাসনের কাছে।ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল,শরনর্থীদের কাঞ্চনপুরে পুনর্বাসন দিলে মিজো ও বাঙালিদের কি কি সমস্যায় পড়তে হবে তাও বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিলো।বহুবার শান্ত কাঞ্চনপুরে রিয়াং শরণার্থীরা ঝামেলা পাকিয়েছে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে।লুণ্ঠন,অগ্নিসংযোগ,খুন,অপহরণ, তোলা আদায় সব কিছুতেই হাত ছিল মিজোরাম থেকে আসা রিয়াং শরণার্থীদের। অথচ তাদের বিরুদ্ধে পূর্বতন বাম সরকার ও বর্তমান বিজেপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।তাদের কাঞ্চনপুরে পুনর্বাসন দিলে পরিস্থিতি আরো ভয়ানক হয়ে উঠবে।এই কারণেই শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিরোধিতা করছে স্থানীয় লোকজন। সম্প্রতি একই ইস্যুতে কেঁপে উঠছিল জমপুই হিল।গোটা পাহাড় অবরুদ্ধ করে দিয়েছিল পাহাড়ের মানুষ।শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের মুচলেখা দিয়ে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেছিল।তার মধ্যে অবশ্যই ঘি ঢেলে দিয়েছিলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাঙ্গা।তিনি জমপুই হিলের মানুষের পক্ষ নিয়ে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে।এবং চিঠিতে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রিয়াং দের পুনর্বাসন দিয়ে জমপুই হিলের শান্তির পরিবেশ বিঘনিত হতে পারে ।যদিও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সেই চিঠির আমল দিতে চান নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।তিনি এই ইস্যুতে বলেছিলেন,জোরাম থাাঙ্গা ফেডারেল সিস্টেম ভঙ্গ করেছেন।তাই রাজ্য সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ।