স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ২৩ মে।। করোনা সংক্রমণ রোধে গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন ভোর ৫ টা পর্যন্ত নৈশকালীন কার্ফু । রাজ্যের জনগণ এই নৈশকালীন করোনা কার্ফু যাতে সঠিকভাবে পালন করে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন যথেষ্টভাবে সক্রিয় রয়েছে ।
Lকিন্তু ইদানিংকালে লক্ষ্য করা যাচ্ছে কার্ফু চলাকালীন সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাতের আধারে নিশিকুটুম্বদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে । কখনো রাতের আধারে গৃহস্থের ঘর থেকে বাইক চুরি তো কখনো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে পর পর থাবা ।
একদিকে করোনাকালীন পরিস্থিতিতে চলছে অর্থনৈতিক সংকট এরি মধ্যে নিশিকুটুম্বদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ জনগনদের মাধায় হাত । এককথায় নৈশকালীন কার্ফুতে প্রহরারত পুলিশ বাবুদের ঘুমে রেখেই চোরের দল তাদের হাত সাফাই অব্যাহত রেখেছে । কিন্তু পুলিশ বাবুরা ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকা পালন করছে বলেই একাংশের অভিমত । কিন্তু শনিবার রাতে উত্তর জেলার ধর্মনগরে এমন একটি ঘটনা ঘটলো যা সত্যিই অবাক করার বিষয় ! শাসকদলীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের গাড়িতে অগ্নি সংযোগ ঘটালো দুস্কৃতিকারীরা ।
প্রতিদিনের ন্যায় নৈশভোজ সেরে বাড়ির সকলেই ঘুমিয়ে পড়েন । কিন্তু রাত্রি আনুমানিক ১টা নাগাদ গাড়িতে অগ্নিসংযোগের আঁচ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন গাড়িতে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে । ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন । পরবর্তীতে দমকল কর্মীদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ।
কিন্ত ধর্মনগর সোনারুবাসা ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা ভাগ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলীয় উপ-প্রধান গোবিন্দ দেবনাথের হন্ডাই কোম্পানির টিআর ০৪-বি-০৪৯৭ নম্বরের একসেন্ট গাড়িটি অধিকাংশই পুড়ে যায় । উক্ত বিষয় নিয়ে উপ-প্রধান বাবু ধর্মনগর থানায় একটি লিখিত মামলা দায়ের করেছেন । সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন ব্যক্তিগতভাবে ওনার কারো সাথে দ্বন্দ্ব নেই এলাকায় ।
কিন্তু কে বা কারা এ ধরনের অগ্নিসংযোগের কাণ্ড ঘটিয়েছে তা তিনি এখনো বুঝে উঠতে পারেননি । তবে তিনি এঘটনার পেছনে স্থানীয় সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকদের হাত থাকতে পারে বলেও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ।