অনলাইন ডেস্ক, ২৩ মে।। কলকাতার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ থেকে বিদায় নিচ্ছেন প্রধান চরিত্র দিতিপ্রিয়া রায়। চিত্রনাট্য অনুযায়ী শিগগিরই চরিত্রটির মৃত্যু দেখতে পাবে দর্শক। সিরিয়ালের শুটিং শেষ হওয়ার আগেই বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিনেত্রী। মন খারাপ তার।
প্রায় ৪ বছরের অভ্যাস ছেড়ে বেরিয়ে আসা সোজা কথা নয়! এ সিরিয়ালে কিশোরী থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
সম্প্রতি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন দিতিপ্রিয়া। তার পরে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’র শুটিং করেছেন। সেটে কান্নাকাটিও হয়েছে। তার কয়েক দিনের মধ্যেই লকডাউন। মহামারির সাম্প্রতিক ঢেউ একটু শান্ত হতেই শেষ অধ্যায়ের শুটিং করবেন তিনি।
দিতিপ্রিয়া বলেন, ‘‘রানির বয়স হয়েছে। মৃত্যু তো অনিবার্য। সে কথা জানতাম। তাও মন খারাপ তো হবেই। আমার বড় হওয়ার সঙ্গী এই ধারাবাহিক। ’’
১৫ বছর বয়স থেকে প্রায় ১৯ বছর বয়স— বয়ঃসন্ধির গোটাটাই তার কেটেছে ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে। ধারাবাহিক এবারে কোন দিকে গতি নেবে সেই নিয়ে কোনো ধারণা নেই অভিনেত্রীর। কিন্তু তার জীবনের গতির কী পরিস্থিতি?
‘রানিমা’-র ভাবমূর্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার রাস্তা সহজ নয়। ঠিক যেভাবে ‘হ্যারি পটার’ না হওয়ার চেষ্টা করতে হয়েছিল ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফকে। সেভাবেই তিনিও নির্দিষ্ট চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পরিশ্রম করবেন বলে বিশ্বাসী দিতিপ্রিয়া।
আপাতত ধারাবাহিকে ‘না’, বড় পর্দায় ‘হ্যাঁ’। নতুন মন্ত্র দিতিপ্রিয়ার? বড় পর্দায় কাজ করতে চান অভিনেত্রী। মোট ৬টি ছবি তার হাতে। এর মধ্যে ৪টি মু্ক্তির অপেক্ষায়।
কয়েক দিন আগে দিতিপ্রিয়াকে আরও একটি ধারাবাহিকের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি।
ধারাবাহিক থেকে পরিচিতি পেয়েও ছোটপর্দায় ‘না’ কেন? অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ধারাবাহিকে কাজ করতে চাই না, তা নয়। নিশ্চয়ই করব। তবে এখনই না।
তার ৩টি কারণ, প্রথমত, বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে নাড়াছাড়া করতে চাই। দ্বিতীয়ত, আমার বয়সের কাছাকাছি চরিত্র চাই। ধারাবাহিকে বয়স খুব দ্রুত গতিতে বেড়ে যায়। তৃতীয়ত, পড়াশোনা করতে চাই মন দিয়ে। ছবি করলেই সেটা সম্ভব বলে মনে হচ্ছে। ’’
তার মতে, অভিনয় ছাড়া যদি আর কোনও পেশা তাকে গ্রহণ করতে হয়, তবে তা কেবল পড়াশোনা নির্ভর কোনো কাজ।