অনলাইন ডেস্ক, ১৬ মে।। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলে আরও যেন বেপরোয়া হয়ে উঠলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার শেষ বিকেলে টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে বলেছেন, যতক্ষণ প্রয়োজন ফিলিস্তিনে তারা হামলা চালাবেন।
দুই দেশের চলমান সংঘাত সপ্তম দিনে পড়েছে। রবিবারও ৩ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এদিন ফিলিস্তিনের যোদ্ধাদেরও তেল আবিবের দিকে রকেট ছুড়তে দেখা গেছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই দেশকে থামতে বললেও নেতানিয়াহুর কথায় বোঝা গেছে, সহজে তিনি শান্ত হবেন না।
শনিবার বাইডেন তাকে ফোনে সমর্থন জানান। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে হামলা থামাতে বলেন।
বাইডেন এমন সব কথা বলছেন, যা শুনে মনে হতে পারে, ফিলিস্তিন হামলা করছে আর ইসরায়েল আত্মরক্ষা করছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে ভিন্ন কথা। সোমবার থেকে সংঘাত শুরু হওয়ার পর গাজায় ১৪৮ জন মারা গেছেন। ইসরায়েলে সেখানে দশজন।
নেতানিয়াহু ভাষণে বলেছেন, সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে তারা যতটা সম্ভব চেষ্টা করছেন। ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনিদের বিরোধ যুগ-যুগ ধরে চলে আসছে। ইসরায়েলি উগ্রবাদীদের হাতে প্রতি বছর শতশত নিরীহ ফিলিস্তিনি মারা যান।
দুই দেশের মধ্যে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে ‘জেরুজালেম দখল দিবস’ উদযাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ঘিরে। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে সাত শতাধিক মুসল্লি আহত হন।
আল-আকসা মসজিদ থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে রকেট হামলার হুমকি দেয় গাজার প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। সেখান থেকে বাহিনী সরিয়ে না নিলে ইসরায়েলে রকেট ছোড়ে সংগঠনটি। পাশাপাশি হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ইসরায়েল।