সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের আক্রমণে ভাই ও দুই ভাতিজি রক্তাক্ত, উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার, কদমতলা, ১৫ মে।। কদমতলা থানাধীন সরলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডের বামুনিয়া এলাকায় সীমানা বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের আক্রমণে ভাই ও দুই ভাতিজি রক্তাক্ত। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।বাড়ির জায়গার সীমানা নিয়ে ভাইয়ের আক্রমণে গুরুতর আহত আহত অপর ভাই রাকেশ নাথ ও তার দুই মেয়ে সোমা নাথ ও রত্না নাথ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কদমতলা থানা এলাকার সরলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়াা এলাকায়় তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী আক্রান্তের বাড়িতেে ছুটে যান। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। আক্রমণকারী ইরেশ নাথ ও তার ছেলে সৌরভ নাথের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার কদমতলা থানাধীন সরলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনিয়া এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাকেশ নাথের ভাই ইরেশ নাথের বাড়ির সীমানার বেড়া দেওয়া নিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। রাকেশ নাথকে সীমানায় বেড়া দিতে বাধা দেয় তার ভাই।

ভাই ইরেশ নাথ ও তার ১৫ বছরের নাবালক ছেলে সৌরভ নাথ বেড়া দিতে বাধা দেয় রাকেশ নাথকে । তখনই ধারালো দা দিয়ে পিতা-পুত্র মিলে রাকেশ নাথের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাতে শরীরের বিভিন্ন অংশ দায়ের কোপে কেটে যায়। পিতাকে বাঁচাতে এসে রাকেশ নাথের দুই মেয়ে সোমা নাথ ও রত্না নাথ গুরুত্বর ভাবে দায়ের কোপে রক্তাক্ত হয়। এ সময় ঘটনাক্রমে কদমতলা থানার পুলিশ বামুনিয়া এলাকায় অন্য একটি মামলার তদন্তে যাচ্ছিল।

পুলিশ তখন ঘটনার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। তখন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাকেশ নাথ ও তার দুই কন্যাকে কদমতলা সামাজিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে অন্যত্র রেফার করেন। এদিকে আহতদের পরিবারের তরফ থেকে কদমতলা থানায় অভিযুক্ত ইরেশ নাথ ও তার ছেলে সৌরভ নাথের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।কদমতলা থানার পুলিশ মামলাটি হাতে নিয়ে অভিযুক্ত আক্রমণকারী ইরেশ নাথ ও তার ছেলে সৌরভ নাথকে গ্রেপ্তার করে ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে।

অপরদিকে আজ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী গুরুতরভাবে আহত রাকেশ নাথের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোজখবর নেন। কথা বলেন রাকেশ নাথ ও তার দুই মেয়ে সোমা নাথ ও রত্না নাথের সাথে। চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে,আহত রাকেশ নাথের বাড়ির সীমানা নিয়ে তার আপন ভাই ইরেশ নাথের দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চলছিল। আর গত ১১ মে বাড়ির জায়গার সীমানা উপর বেড়া দেওয়া শুরু করলে রাকেশ নাথের উপর তার ভাই ইরেশ নাথ ও ভাইয়ের ছেলে সৌরভ নাথ দুর্বৃত্তের মত ধারালো দা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। আহত রাকেশ নাথ ও তার দুই মেয়ে ন্যায় বিচার পাবার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছে রাজ্য মহিলা কমিশনের কাছে।  রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীর সফর সঙ্গী ছিলেন কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?