অনলাইন ডেস্ক, ১৩ মে।। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই স্বর্ণযুগের ক্রিকেট আর কখনোই ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কিংবদন্তি পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস। বর্তমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের তরুণদের নিয়ে মোটেও আশাবাদী নন তিনি। বর্তমান প্রজন্মকে দিয়ে ক্যারিবীয় ক্রিকেটের সেরা সময়টা আর ফেরানো যাবে না বলে মনে করেন তিনি।
অ্যামব্রোস, ‘আমি বর্তমান প্রজন্মের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাচ্ছি না। এখনকার দলে দুই-তিন জন আছে, যারা সত্যিই দক্ষ। সেরা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে। সেই স্বর্ণযুগের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আমরা আর কখনো হয়তো দেখতে পাব না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আর একটা ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, ডেসমন্ড হেইন্স, গর্ডন গ্রিনিজ, ব্রায়ান লারা, রিচি রিচার্ডসন পাব না। অথবা নতুন কোনো ম্যালকম মার্শাল, কোর্টনি ওয়ালশ, মাইকেল হোল্ডিং, অ্যান্ডি রবার্টস পাওয়া কঠিন। না পাওয়ার তালিকা বড় হতেই থাকবে। এ রকম অনন্য প্রতিভাধর ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া ভীষণ কঠিন হবে। ’ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
৭০-৮০’র দশকে ক্রিকেট দুনিয়ার ত্রাস ছিল ক্যারিবীয়রা। ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতে উইন্ডিজ। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও ভারতের কাছে বাজেভাবে হারে তারা। তাই হ্যাটট্রিক শিরোপা জয় করা হয়নি তাদের।
তারপরও দাপটের সাথে বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করেছেন ক্লাইভ লয়েড, ভিভ রিচার্ডস, ডেসমন্ড হেইন্স, রিচি রিচার্ডসন, ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং, ব্রায়ান লারা, কর্টলি ওয়ালশরা।
এই শতাব্দীতে অবশ্য দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১২ এবং ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে ক্যারিবীয়রা। কিন্তু ১৯৭৯ সালের পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে না পারার দুঃখ কার্টলি অ্যামব্রোসের মনে।
৯৮ টেস্টে ৪০৫ উইকেট নেওয়া কিংবদন্তি বলেন, ‘এখন আমরা যে সব তরুণকে দেখছি দেশের হয়ে খেলছে, তারা জানেই না ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষের কাছে ক্রিকেটের জায়গা কোথায়। দেশে এবং বিদেশে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষদের একসূত্রে গেঁথে রাখার মাধ্যম ক্রিকেট। আমি জানি না, তাদের মধ্যে শিরোপা জয়ের ক্ষুধা কেন নেই। আমাদের সময়, একটি ম্যাচ জয়ের জন্য আমরা মুখিয়ে থাকতাম। অথচ এই যুগে খেলোয়াড়দের এত প্রতিভা থাকার পরও ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের মত রেকর্ড গড়তে পারল না। ’