নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ মে।। করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের দরবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া, দুই দফার মেয়াদে তিনি একাধিক সাহসী এবং ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় মেয়াদের বর্ষপূর্তি-তে এইভাবেই প্রশংসা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রীয় সরকার দেশ থেকে ৩৭০ এবং ৩৫(এ) ধারা শান্তিপূর্ণভাবে বিলোপ করেছে৷ মুসলমান মহিলাদের সুুরক্ষার জন্য তিন তালাক প্রথা বাতিল করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, মহিলাদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন রোধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে৷ সাথে বিপ্লব দেব যোগ করেন, কিষাণ সম্মাননিধি যোজনা, আয়ুষ্মান ভারত ইত্যাদি বিভিন্ন ঐতিহাসিক যোজনা দেশের প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন৷ তিনি প্রশংসা করে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় তিনি বিশ্বের দরবারে একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন৷
আজ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন৷ বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকও ছিলেন৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্ক রেখে হাসপাতালের সৌন্দর্যায়ন এবং সবুজায়নের উদ্দেশ্যেই এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল এবং প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য রোগী এবং তার সঙ্গে আসা পরিবারের সদস্যদের সুুস্থ মানসিকতার বিকাশেও সহায়ক ভূমিকা নেবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷ তিনি বলেন, আগামীদিনে জিবি হাসপাতালের বিশিষ্ট প্রাক্তন চিকিৎসকদের স্মৃতিচারণে তাদের নাম অনুসারে বৃক্ষরোপণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ এরফলে রাজ্যের বাইরে থেকে আসা লোকেদের মনেও এই গাছগুলিকে দেখে এক সুুন্দর আদর্শের সঞ্চার ঘটবে৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর এবং সাংবাদিকদের পাশাপাশি রাজ্যের জনগণকে বিশেষ ভূমিকা নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান৷ তিনি বলেন, গ্রাম পর্যায়েও করোনা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা রয়েছে৷ গ্রামস্তরের কমিটিগুলি গ্রামে দক্ষভাবে প্রাতিষ্ঠানিক একান্তবাস তৈরি করেছে৷ পাশাপাশি ১৪ দিনের বাড়িতে একান্তবাসের নির্দেশিকাও যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে৷
তাঁর কথায়, ভিন রাজ্য থেকে আসা অধিকাংশ নাগরিকের নমুনা সংগ্রহের উপর রাজ্য সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে৷ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে জিবি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মীরা দক্ষতার সাথে তাদের কাজ করছে৷ পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ সকলে মিলেমিশে কাজ করছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন৷ করোনা আক্রান্তদের সুুস্থ হওয়ার হার অন্যান্য রাজ্যের থেকে ত্রিপুরায় অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি৷