স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৭ মে।। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ হাপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক ইন্ডোর এক্সিবিশন সেন্টারে করোনা রোগীদের জন্য ২০০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টারের পরিদর্শন করেন। এখানে ১৪০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটেড বেড এবং ৬০টি রিকোভারি বেড রয়েছে। খুব শীঘ্রই এখানে আরও ১০০টি বেড চালু হবে।
কোভিড কেয়ার সেন্টার পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সাংবাদিকদের জানান, করোনা মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। রাজ্যের জেলাগুলিতেও কোভিড নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পরিষেবা কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। অক্সিজেন বেড, আর টি পি সি আর, টুনেট, টেস্টিং-এর ব্যবস্থা জেলায় রয়েছে। যাতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় করোনা রোগীদের স্থানান্তরিত করতে না হয়।
তিনি বলেন, তাছাড়াও জিবি হাসপাতালের জয়ন্তী ব্লককে ২২১ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা এখন অনেক উন্নত। টিকাকরণের সাফল্যে দেশের মধ্যে ত্রিপুরা ভালো অবস্থানে রয়েছে। অনুরোধ করব ৪৫ বছর এবং এর উর্ধ্বে যে আড়াই লক্ষ লোক অবশিষ্ট রয়েছেন তারা যাতে টিকাকরণে এগিয়ে আসেন।
১৮ থেকে ৪৪ বছরের নাগরিকদের টিকাকরণের জন্য সরকার ২টি কোম্পানীকে ভ্যাকসিনের অর্ডার দিয়েছে। টিকাকরণে আমরা প্রথম থেকে যেভাবে এগিয়ে এসেছি একে আরও বেগবান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
এ কাজে তিনি বিভিন্ন ক্লাব, সংস্থা ও রাজনৈতিক দলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীদেব বলেন, অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালেও আলাদা করে ১০০ শয্যার একটি ডেডিকেটেড কোভিড কেয়ার সেন্টার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, লকডাউনের বিষয়ে সরকার এখনই চিন্তা ভাবনা করছে না। পুর নিগম, পুর পরিষদ ও নগর পঞ্চায়েত এলাকায় করোনা নাইট কার্ফু রয়েছে। রাজ্যের শহর এবং গ্রামীণ এলাকার বাজারগুলিতে মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট টেস্টিং এর মাধ্যমে দেখা হবে কোথায় কোথায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতন থাকা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই একমাত্র পথ। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে সংবাদ মাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
কোভিড কেয়ার সেন্টার পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব জে কে সিনহা, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব ডা. পি কে গোয়েল, পশ্চিম জেলার জেলাশাসক রাভেল হেমেন্দ্র কুমার, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার মানিকলাল দাস, সদর মহকুমা শাসক অসীম সাহা প্রমুখ।