উইঘুর হত্যাকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলতে আপত্তি নিউজিল্যান্ডের

অনলাইন ডেস্ক, ৭ মে।। উইঘুরদের ওপর চীন সরকার যে নির্যাতন চালাচ্ছে, তাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি নিউজিল্যান্ড। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব করা হলে সংসদে সেটি বাতিল হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেনের লেবার পার্টির আপত্তিতে ‘গণহত্যার’ বদলে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়।

উইঘুর মুসলিমদের সঙ্গে চীনের আচরণকে সরাসরি গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করে আসছে গোয়েন্দা সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক ‘ফাইভ আইস’ এর তিন মিত্র রাষ্ট্র কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।

তবে এক্ষেত্রে বাকি দুইদেশ নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ভিন্ন পথে হাঁটছে। উভয় দেশের সঙ্গেই চীনের রয়েছে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক।

কিউই পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা সরকারের সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘চীনের কাছে একাধিকবার উদ্বেগ তুলে ধরেছে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু গণহত্যা শব্দটি সরকার ব্যবহার করতে চায় না কারণ এটি গুরুতর আইনি অভিযোগের মধ্যে পড়ে। তার মতে গণহত্যা আন্তর্জাতিক অপরাধগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর এবং আইনের ভিত্তিতে চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমেই এর আনুষ্ঠানিক ফয়সালা হতে পারে। ’

বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও আন্দোলনকর্মীদের হিসাবে উইঘুর মুসলিমসহ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর ১০ লাখ মানুষকে ২০১৭ সাল থেকে বন্দীশিবিরে আটক রেখেছে চীন সরকার। যদিও তাদের দিয়ে জোরপূর্বক শ্রম ও গণহত্যার বিষয়টি চীন বিরোধীদের প্রোপাগান্ডা বলে সম্প্রতি দাবি করেছেন নিউজিল্যান্ডে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত উ জি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?