স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২ মে।। অনাবৃষ্টিতে জ্বলছে কৃষি জমি, মাঠ, ঘাট৷ সবমিলিয়ে কৃষকের মাথায় হাত৷ জলাশয়ও প্রখর রৌদ্র তাপে ফেটে চৌচির৷ সেচের অভাবে সবজি মরশুমে জমিতে সবজি গাছ জ্বলছে৷ বৈশাখ মাস মানেই বৃষ্টি৷ সর্বদাই ঝড়-বৃষ্টি থাকে৷ কৃষকরা বর্ষাকালীন সবজি চাষে বৈশাখ মাস কৃষকদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন৷ কিন্তু বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময় চলে গেলেও এখন পর্যন্ত দেখা নেই বৃষ্টির৷
কারণ এই রাজ্যের কৃষকরা এখনও বৃষ্টি নির্ভর, যার ফলে মহা বিপাকে কৃষককুল৷ তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষি প্রধান এলাকা গুলির মধ্যে অন্যতম এলাকাগুলি হলো বাইশঘড়িয়া, উত্তর কৃষ্ণপুর, দক্ষিণ কৃষ্ণপুর, মধ্য কৃষ্ণপুর, বালুছড়া, মোহরছড়া, নয়নপুর, ব্রহ্মছড়া সহ আরো অন্যান্য এলাকা৷ এই এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন অধিকাংশই কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল৷
কিন্তু বর্তমানে অনাবৃষ্টি থাকার কারণে জলের অভাবে কৃষকরা অনেকটাই বেহদিশ৷ এই অবস্থায় তারা কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না৷ কাকরুল, পটল এর জন্য বিখ্যাত বাইশঘড়িয়া এলাকায় এম.আই দপ্তরের দুইটি পাম্প মেশিন থাকলেও এর মধ্যে একটি ৩ থেকে ৪ বছর যাবৎ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে৷
আরেকটি মেশিন দ্বারা কৃষকেরা তাদের জমিতে জল দিলেও, অভিযোগ, কৃষিক্ষেত্রে চাষাবাদের জন্য যে পরিমাণ জলের প্রয়োজন সেই মতো তারা জল পাচ্ছেন না৷ উপরন্তু অনাবৃষ্টি, তাই কৃষককুল দিশেহারা৷ চাতক পাখির মতো আকাশের পানে চেয়ে আছে৷
এলাকায় দেখা গেছে সেচের অভাবে কাকরুল, পটল, লতছিম, চালকুমোর, করলা প্রভৃতি সবজির গাছগুলো ঝলসে যাচ্ছে৷ জলের অভাবে এবং প্রখর রৌদ্র তাপে বেগুন গাছে বেগুন ঝলসে গেছে৷ এই অবস্থায় কৃষকেরা রাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে৷ নতুবা তাদের পথে বসতে হবে৷