হোয়াইট হাউজ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার ক্ষতিকর বিদেশি কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ’ বাইডেন বলছেন, গত নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে রাশিয়ান গোয়েন্দারা নানা ধরনের সাইবার তৎপরতা চালিয়েছে। রাশিয়া অবশ্য এসব অভিযোগ আগেই অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে মূলত গতবারের নির্বাচন ঘিরেই। মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর প্রচেষ্টায় অনুমোদন দিয়েছিলেন।
মার্কিন সরকারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ‘বিভ্রান্তিমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ’ ছড়িয়েছিল মস্কো। তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে বিদেশি কোনো সরকারের হাত ছিল না বলেও জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ৩ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে আস্থা মুছে ফেলার জন্য গুজব ছড়াতে প্রচারণাও চালানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মিডিয়া, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ট্রাম্পের মিত্রদের কাছে বাইডেন বিরোধী বক্তব্য ছড়িয়েছে।