অনলাইন ডেস্ক, ১২ এপ্রিল।। রাজধানী রিও দে জেনেইরোতে যিশু খ্রিষ্টের নতুন এক ভাস্কর্য নির্মাণ করছে ব্রাজিল। যা তাদের বিখ্যাত রিদিমার ভাস্কর্যের চেয়েও বিশাল।
এটিই হতে যাচ্ছে পৃথিবীর তৃতীয় সর্বোচ্চ যিশুর ভাস্কর্য। ব্রাজিলের দক্ষিণ শহর এনকান্তাদোতে নির্মিণাধীন ত্রাতা যিশুর এই ভাস্কর্যের উচ্চতা হবে স্তম্ভ মূল থেকে ৪৩ মিটার বা ১৪০ ফুট।
২০১৯ সালে নির্মাণ শুরু হওয়া এই ভাস্কর্যের মাথা ও প্রসারিত দুই হাত সংস্থাপন করা হয়েছে গত সপ্তাহে।
যিশু খ্রিষ্টের এমন বিশাল ভাস্কর্য নির্মাণের ধারণা প্রথম আসে এক স্থানীয় রাজনীতিবিদ আদ্রোয়ালদো কনজাত্তি। কিন্তু এর মাথা ও বাহু সংস্থাপনটাও দেখে যেতে পারেননি তিনি। গত মার্চে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান কনজাত্তি।
আশা করা হচ্ছে, ৩৫০,০০০ মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার এই প্রকল্প শেষ হতে পারে এই বছরের শেষদিকে। এই প্রকল্প তত্ত্বাবধানে আছে অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ফ্রেন্ডস অব ক্রাইস্ট গ্রুপ।
তাদের এক আয়োজক জানায়, ব্যক্তিগত ও কোম্পানির অনুদানে এই ভাস্কর্য নির্মাণ হচ্ছে। এই ভাস্কর্যের এক হাত থেকে আরেক হাতের দূরত্ব ৩৬ মিটার। এর ভেতরে থাকা লিফট দর্শনার্থীদের ৪০ মিটার উপরে থাকা যিশুর বুকের কাছ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।
এটির চেয়ে বড় যে দুটি ভাস্কর্য পৃথিবীতে রয়েছে তার একটির নাম জেসাস বান্তু বোরাকে। যার অবস্থান ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসিতে। স্তম্ভ মূল থেকে এর উচ্চতা ৫২.৫৫ মিটার। আরেকটি হচ্ছে পোল্যান্ডের সুইবোজিনে অবস্থিত ক্রাইস্ট দ্য কিং। নিচ থেকে যার উচ্চতা ৫২.৫ মিটার।
ব্রাজিলের ৩৮ মিটারের ক্রাইস্ট দ্য রিদিমারকে আইকন মেনে তৈরি হয় এই দুই ভাস্কর্য। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে প্রায় ডজেনখানেক লম্বা ভাস্কর্য রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভার্জিন ম্যারি ও অনেক বুদ্ধমূর্তি।
এদিকে করোনায় ইতিমধ্যে বিপর্যস্ত ব্রাজিল নিজেদের সামাল দিতে পারছে না। করোনা সংক্রমণে তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশটিতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৪৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৩ জনের। অর্থাৎ, মৃত্যুর হিসেবে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান ব্রাজিলের।