কারণ, শহরের বহু বাসিন্দাকে বাধ্য হয়ে আশপাশের গ্রামে পালিয়ে যেতে হয়েছিল। মনিটরিং গ্রুপ অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস-এএপিপি বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। সংবাদ সংস্থা দ্য মিয়ানমার নাউ বিক্ষোভের আয়োজক ইয়ে হুটুটকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এটা গণহত্যার মতোই। তারা প্রতিটি ছায়ার দিকে গুলি ছুড়েছে।’ গত ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাবাহিনী এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি। তখন থেকে মিয়ানমারজুড়ে গণবিক্ষোভ চলছে। সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, গত বছরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে।
ওই নির্বাচনে দেশটির নেতা অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পুনর্নির্বাচিত হয় এবং সরকার গঠন করে। নির্বাচন কমিশন কারচুপির দাবি নাকচ করে আসছে। নিজেদের দাবির পক্ষে তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি সেনাবাহিনীও। এদিকে ক্ষমতাচ্যুত সংসদ সদস্যরা এবং জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও নো-ফ্লাই জোন করার মতো ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। জাতিসংঘে ওই বৈঠকে আরও সতর্কতা দেওয়া হয় যে, মিয়ানমার ‘ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারপ্রান্তে’ রয়েছে।