২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘সুুপার থার্টি’ নামে নতুন প্রকল্প রাজ্যে

নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ শিক্ষা দপ্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে ‘সুুপার থার্টি’ নামে নতুন একটি প্রকল্প চালু করবে৷ রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ডাক্তার, ইঞ্জিনীয়ারিং-এর ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে ভালো জায়গায় পৌঁছতে পারে সে লক্ষ্যেই এই প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এই সংবাদ জানিয়েছেন৷ তিনি আরও জানান, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে মাধ্যমিক পাস করা বি’ান বিষয়ের সেরা ৩০ জন ছাত্রছাত্রীকে বাছাই করা হবে৷ এক্ষেত্রে এস সি এবং এস টি সংরক্ষণের ১০০ শতাংশ রোস্টার মেনেই সেরা ছাত্রছাত্রীদের বাছাই করা হবে৷ বাছাইক’ত ৩০ জন ছাত্রছাত্রী নিজেদের পছন্দমতো ভারতের যে কোনও কোচিং সেন্টারে জে ই ই অথবা এন ই ই টি এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে৷ শিক্ষামন্ত্রী জানান, টি বি এস ই পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করা বি’ান বিভাগের সেরা ৩০ জন ছাত্রছাত্রীর মেধা তালিকা তৈরি করবে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ৷ এক্ষেত্রে তাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ৮ লক্ষ টাকার কম হতে হবে৷ মাধ্যমিকে সেরা তপশিলি জাতির ২০ জন, তপশিলি উপজাতির ৩০ জন এবং সাধারণ শ্রেণীভুক্ত ৫০ জন ছাত্রছাত্রীর তালিকা তৈরি করা হবে৷ তাদের মধ্য থেকেই সেরা ৩০ জন ছাত্রছাত্রীকে বাছাই করা হবে৷ বাকি ছাত্রছাত্রীদের অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হবে৷ ইচ্ছক ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে এবং কখন আবেদন করবে তারজন্য অন্তত ৩টি স্থানীয় পত্রিকায় বি’াপন দেওয়া হবে৷ নির্বাচিত ৩০ জন ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যেকের জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয় হবে৷ এরফলে রাজ্য সরকারের ১ বছরে মোট ব্যয় হবে ৭২ লক্ষ টাকা৷ নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীরা বহির্রাজ্যের কোচিং সেন্টারগুলিতে সঠিকভাবে পড়াশুনা করছে কিনা তা তদারকি করবে উচ্চশিক্ষা দপ্তর, মধ্যশিক্ষা দপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তাগণ৷ তারা বছরে দু’বার কোচিং সেন্টারগুলি পরিদর্শন করবেন এবং তিনমাস অন্তর ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?