নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ পূর্ত ঘোটালায় চার্জশীট দিতে পারেনি ত্রিপুরা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ৷ তাই, জেল হেফাজতে ৯০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ায় জামিন পেলেন পূর্ত দফতরের প্রাক্তন প্রধান সচিব তথা প্রাক্তন মুখ্য সচিব ওয়াই পি সিং৷ স্বাভাবিকভাবেই, দুর্নীতি মামলায় হোঁচট খেয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ ওয়াই পি সিং-র আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, শুধুমাত্র হয়রানির জন্যই তাঁর মক্কেল-কে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷ তাঁর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি প্রমান হবে না, তা নিশ্চিত ছিল৷ তাই, আজ ত্রিপুরা হাই কোর্ট ওয়াই পি সিং-র জামিন মঞ্জুর করেছে৷প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় পূর্ত ঘোটালায় ইতিপূর্বে প্রাক্তন বিভাগীয় মন্ত্রী তথা বর্তমান বিধায়ক বাদল চৌধুরী এবং প্রাক্তন পূর্ত কর্তা সুনীল ভৌমিক-কে ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করেছিল৷ তাঁদের ক্ষেত্রেও আদালতে চার্জশিট দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁরা ৯০ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর জামিন পেয়ে যান৷ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পূর্ত ঘোটালায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ পূর্ত দফতরের প্রাক্তন প্রধান সচিব তথা প্রাক্তন মুখ্য সচিব ওয়াই পি সিং-কে গ্রেফতার করেছিল৷ তাকে, ত্রিপুরায় এনে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল৷ শেষে আদালত তাকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেয়৷ এদিকে, ৯০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ক্রাইম ব্রাঞ্চ আদালতে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি৷ বরং, পূর্ত ঘোটালায় তদানীন্তন মুখ্য সচিবের বয়ান রেকর্ড করে এনে আদালতে মুখ পুড়েছে ত্রিপুরা সরকারের৷ ওয়াই পি সিং-র আইনজীবী পীযুষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, তদানীন্তন মুখ্য সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত মুখ্য সচিব শশী প্রকাশ এবং এ. কে. ম্যাংগোত্রা স্বীকার করেছেন, পূর্ত কাজে মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছিল৷ মন্ত্রিসভা-কে লুকিয়ে ওয়াই পি সিং কোন পদক্ষেপ নেননি৷ পীযূষবাবুর কথায়, ওয়াই পি সিং আদালতে বলেছিলেন, পূর্ত কাজে মন্ত্রিসভার অনুমোদনেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল৷ সে-মোতাবেক কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু, ত্রিপুরা সরকার তাতে দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ এনে তাঁর মক্কেল-কে অযথা হয়রানি করেছে, বলেন পীযুষ কান্তি বিশ্বাস৷ তাঁর দাবি, তদানীন্তন দুই আধিকারিকের বক্তব্যে এখন তা প্রমান হয়ে গেছে৷