নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে।। বই বিক্রেতাদের একটা অংশ যারা রাজ্যের বাসিন্দা, অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে তারা বই বিক্রি করত। এদের মধ্যে একাংশ নোট বই না নিলে পাঠ্যবই দিত না। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজ্য সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবার জন্য বিদ্যালয় পরিদর্শকের মাধ্যমে বই বিতরণ করা হচ্ছে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। এইবছর বেসরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল গুলির জন্য বিনামূল্যে বই প্রদান করছে সরকার। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বই বিক্রেতাদের একটা অংশ চাইছে এই বইগুলি যেন তাদের প্রদান করা হয়। ভর্তুকিতে সরকার দিলে সেই বই বিক্রি করে কিছুটা উপার্জনের জন্য এই দাবি করেছে একাংশ বই বিক্রেতা। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকমের। একাধিক অভিযোগ রয়েছে বই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকার এনসিআরটি-র কাছ থেকে বই না কিনে ছাপিয়েছে। যাতে বইয়ের মূল্য কম করা যায়। এগুলি বিদ্যালয় পরিদর্শক এর মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে কোনো অভিযোগ আসেনি। এবার বই বিক্রেতাদের একাংশ ফের একই দাবি তুলেছে। তাদের স্বার্থ দেখতে গেলে কোন কারনে ক্রাইসিস সৃষ্টি হলে অভিভাবকেরা রাজ্য সরকারকে দোষারোপ করবেন। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে নেওয়ার জন্য বই বিক্রেতাদের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না দপ্তর। তারপরও বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সংগঠনের নেতৃত্ব রা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই মোতাবেক সিদ্ধান্তক্রমে আগামীদিনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ।