নতুন প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১৬ মে।। গোটা দেশের সাথে পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরাতেও করোনা পজিটিভ হু হু করে বাড়ছে। আজও ১১ জনের শরীরে ধরা পরল করোনা ভাইরাসের পজেটিভ।এরমধ্যে ৭জন বিএসএফ ৮৬ নম্বর বেটেলিয়ানে কর্মরত এবং ৪জন সিভলিয়ানকে পাওয়া গেছে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ী গেইট থেকে। যারমধ্যে দুজন গাড়ী চালক অন্য দুজন এসছেন গৌহাটীর তেজপুর থেকে। ৪ জন সিভিলিয়ানের মধ্যে ২ জন যাত্রী যারা ইতিমধ্যে তেলিয়ামুড়া ও কমলপুরে হোম কোয়ারেইন্টাইনে রয়েছেন। এদের মধ্যে পুরুষ করোনা পজিটিভ রোগীর বয়স ২৪ এবং মহিলা পজিটিভ রোগীর বয়স ২০। অপরদিকে বহিঃ রাজ্যের ২৩ এবং ৩২ বছরের দুই চালককে চুরাইবাড়ি থেকে এম্বুলেন্স দিয়ে আগরতলার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুজনে ট্রেইলার গাড়ি করে ওএনজিসির সামগ্রী নিয়ে এসেছিলেন। গাড়ি গুলির নাম্বার হল NL02Q/1391 এবং NL01AD/653, বর্তমানে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ দুটি গাড়িকে হটস্পট জুনে রেখে দিয়েছে। পাশাপাশি দুজন চালক বহিঃ রাজ্যের বাসিন্দা। উল্লেখযোগ্য যে প্রতিদিন বহিঃ রাজ্য থেকে ৮ নং আসাম আগরতলা জাতীয় সড়ক দিয়ে পন্যবাহী লড়ি, যাত্রীবাহী গাড়ি সহ বিভিন্ন জরুরী কালীন যান চলাচল করছে। যদিও ত্রিপুরার প্রবেশদ্বার চুড়াইবাড়ি গেইটে ত্রিপুরা স্বাস্থ্য দপ্তরের COVID-19 করোনা ভাইরাস স্ক্যানিং সেন্টার রয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা থেকে শুরু করে লালা রসের নমুনা পরীক্ষা করার পর কারো শরীরে করোনা পজিটিভ সংক্রমণ আছে কিনা তা শনাক্ত করে রাজ্যে প্রবেশ করছেন।যদি কারো শরীরে করোনা ভাইরাসের পজিটিভ পাওয়া যায় তাহলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে স্বাস্থ্য দপ্তর। পাশাপাশি চালক ও যাত্রীদের জন্য কোয়ারেইন্টানের সুবন্দোবস্ত রয়েছে। তবু রাজ্যের প্রবেশদ্বারে আর একটু সচেতনতা ও আধুনিকতা অবলম্বন করলে হয়তো যাত্রী ও চালকদের অনেকটা সুবিধে হয়। এবং করোনা ভাইরাস স্ক্যানিং করার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা দেবে না। পাশাপাশি প্রতিটি গাড়ি স্যানিটেশন করারও দাবি উঠছে। কেননা যেসকল চালক ও যাত্রীদের শরীরের করোনা ভাইরাস পজেটিভ সংক্রমণ ধরা পড়ছে সেসকল চালক ও যাত্রীদের সংস্পর্শে আসা গাড়িতেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ লেগে থাকতে পারে। সুতরাং প্রত্যেকটি গাড়ি সেনিটাইজেশন না করলে হয়তো গাড়ি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অন্যান্য যাত্রী ও চালকরা সংক্রমিত হতে পারেন। এক কথায় বিপদজনক অবস্থানে থাকা রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ির দিকে আরেকটু বেশি নজর রাখুক রাজ্য সরকার না হলে আগামী দিনে রাজ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।