কৃষ্টি সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে পরম্পরাগত পরিধেয় বস্র বোনা চলছে নিরলসভাবে

নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে।। দেশব্যাপী চলা টানা লক ডাউন পরিস্থিতিতেও বসে নেই প্রত্যন্তের জনজাতি অংশের প্রমীলারা। জনজাতি অংশের পর্বত দুহিতারা তাদের চিরাচরিত ঐতিহ্যবাহী পরিধেয় ভূষণ হস্ততাঁত পাছড়া বুনছেন নিরলস ভাবে। জনজাতি পর্বত দুহিতাদের নিজেদের হাতে বোনা ওইসব রঙিন পাছড়া নিজেদের পরিধেয় বস্র হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। জনজাতি প্রমীলাদের হাতে বোনা ঐতিহ্যবাহী ওইসব পাছড়া দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি টেকসই। বাজার থেকে ওইসব চিরাচরিত পরিধেয় বস্র তৈরির প্রধান উপকরণ সুতো ক্রয় করে এনে বাড়িতে বসেই বস্র তৈরি করে নেন। একটা সময় রাজ্য সরকার ও স্বশাসিত জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের তরফে জনজাতি রমণীদের পাছড়া তৈরির প্রধান উপকরণ সুতো বিনামূল্যে প্রদান করে পাছড়া তৈরির কাজে উৎসাহিত করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেটা আর লক্ষ করা যায় না। জনজাতি রমণীদের হাতে তৈরি ওইসব পাছড়া অউপজাতিরা পরিধেয় হিসাবে ব্যবহার না করলেও অউপজাতি গৃহিণীদের মধ্যেও ওইসব পাছড়ার বেশ কদর রয়েছে। কদর রয়েছে দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে। একইভাবে একই পদ্ধতিতে জনজাতি রমণীরা উত্তরীয় সহ এ জাতীয় বেশকিছু হাতে বোনা সামগ্রী তৈরিতে বেশ পারঙ্গম।
সরকার মহকুমার জনজাতি প্রমীলাদের বিনামূল্যে মূল্যে কিংবা সহায়ক মূল্যে পাছড়া সহ ওইসব হস্ত তাঁত সামগ্রী তৈরির প্রধান উপকরণ সুতো সরবরাহ করলে এবং তৈরি করা পাছড়া সহ হস্ত তাঁত সামগ্রী গুলিল বাজারজাত করার ব্যবস্থা করলে প্রত্যন্তের জনজাতি অংশের প্রমীলারা একদিকে যেমন উৎসাহ পেতেন তেমনি আর্থিক স্বাবলম্বী হতে পারতেন। তাছাড়া রাজ্যের জনজাতিদের অন্যতম একটি কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রতি রাজ্যের তথা দেশের মানুষদের মধ্যে আকর্ষিত করার কাজে সহায়ক হতো। দেশ ব্যাপী লক ডাউন চলাকালীন সময়ে অমরপুর মহকুমার দেববাড়ি ভিলেজে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেছে, ভিলেজের বেশির ভাগ জনজাতি পরিবারের ঘরে ঘরে কর্মহীন জনজাতি রমণীরা পাছড়া বুনছেন নিরলস ভাবে।খবর নিলে দেখা যাবে রাজ্যের প্রতিটি জনজাতি অধ্যুষিত ভিলেজের প্রতিটি ঘরে ঘরেই নিজেদের ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখার একই চিত্র তথা নিজেদের পরম্পরা গত পরিধেয় বস্র বোনার কাজ চলছে নিরলস ভাবে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?