সংক্রমণের ঠেকাতে জনবহুল এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হবে বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। কারণ, এই সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে যেমন কিছুটা করোনার নতুন প্রজাতি দায়ী, ঠিক তেমনই জনসাধারণের কোভিডবিধি না মেনে চলাও এই সংক্রমণ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বিমানবন্দর, রেল স্টেশন এবং বাস স্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করারা নির্দেশ দিল দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর।
দিল্লি সরকার জানিয়েছে, যে বেসরকারী বাসে যাত্রীদের ভিড় থাকে, বা বাইরে থেকে শহরে আসে তারা কাজ করতে, সেই সমস্ত বাস স্ট্যান্ডে কোভিড পরীক্ষা করা হবে। সমস্ত জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা কঠোরভাবে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দিল্লিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। গত বছরের ১৯ ডিসম্বর দৈনিক সংক্রমণ শেষ বার এই পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। অন্য দিকে, সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও ৪ হাজার ৪১১। গত ৬ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ছিল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। সেদিন সঠিক সংখ্যাটা ছিল ৪ হাজার ৪৮১ জন। মঙ্গলবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল সহ একাধিক জায়গার নয়া স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ভারতে।
এখনও পর্যন্ত যার সংখ্যা ৭৯৫। মার্চে বিদেশি স্ট্রেনের সংখ্যা একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। ১৮ মার্চ পর্যন্ত সংখ্যাটি ছিল ৪০০। ২৩ মার্চের মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছে ৭৯৫তে। পাঁচদিনে দ্বিগুণ গতিতে বেড়েছে বিদেশি স্ট্রেনের দাপট।