নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে পরের দিন ৩০ জানুয়ারি তেলিয়ামুড়া থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। নাবালিকার নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে তেলিয়ামুড়া থানা নড়েচড়ে বসে। থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করতে গিয়ে একটি মোবাইল নাম্বার উদ্ধার করে। উদ্ধার করা মোবাইল নাম্বারটি মধ্যপ্রদেশের ভোজপুর এলাকার। এই সূত্র ধরে এক যুবকের নাম বেরিয়ে আসে। উক্ত যুবক ও নাবালকের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ভোজপুরে।
নিখোঁজ নাবালিকার সন্ধান মধ্যপ্রদেশে পায় পুলিশ। এই সূত্র ধরে তেলিয়ামুড়া থানা থেকে তিন জনের একটি দল মধ্যপ্রদেশের ছুটে যায়। সেখানে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় নিখোঁজ নাবালিকা এবং এক নাবালককে উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, নাবালক নাবালিকা একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতো। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ নিখোঁজ নাবালিকাকে মধ্য প্রদেশ থেকে রাজ্যে অর্থাৎ তেলিয়ামুড়া নিয়ে আসে। সোমবার প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা শেষ করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ জানিয়েছে নাবালক নাবালিকা প্রথমে মোবাইলে টিক-টক নামক একটি অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচিতি হয়। পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ গভীর হয়। শেষ পর্যন্ত জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ নাবালিকা মেয়েটি মধ্যপ্রদেশ পালিয়ে যায়। প্রায় তিন মাস পর নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পরিবারের লোকজন।