নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মে।। রাজ্যের বেসরকারি বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়গুলির প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের এবছর বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করবে রাজ্য সরকার৷ তাতে প্রায় ১৪ হাজার ছাত্রছাত্রি উপক’ত হবে৷ আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ সংবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷ তিনি আরও জানান, রাজ্যে করোনাজনিত প্রভাবের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের গুণগতমানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে এন সি ই আর টি পাঠ্যক্রম চালু করেছে৷ সেই লক্ষ্যে প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এন সি ই আর টি’র পাঠ্যপুস্তকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ তিনি জানান, এন সি ই আর টি সারাদেশে প্রধানত তিনটি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ করে৷ সেগুলি হল হিন্দি, ঊর্দু এবং ইংরেজী ভাষা৷ দেশের মধ্যে ত্রিপুরা একমাত্র রাজ্য যেখানে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এন সি ই আর টি পাঠ্যপুস্তক বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছে৷ সেগুলি এন সি ই আর টি’র পাশাপাশি দেশের সম্পদ তৈরি হয়েছে বলে শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন৷ এন সি ই আর টি’র পাঠ্যপুস্তকগুলি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার ক্ষেত্রে রাজ্যের শিক্ষকদের অভূতপূর্ব অবদান রয়েছে বলেও শিক্ষামন্ত্রী জানান৷ তিনি আরও জানান, রাজ্যে বর্তমানে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত মোট বইয়ের প্রয়োজন ২৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ১০৭টি৷ রাজ্য সরকার বই ছাপানোর অর্ডার দিয়েছিল ২৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৬৫টি৷ মোট বই গ্রহণ করা হয়েছে ২৫ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭১৫টি৷ এরমধ্যে ২৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৬২৩টি বই ইতিমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে৷ বাকিগুলিও বিতরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যে নবম শ্রেণীর জন্য বই প্রয়োজন ৪ লক্ষ ২৪ হাজার৷ এরমধ্যে বই এসেছে ৩৭ হাজার ৪০০টি৷ বাকি বইগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে করোনাজনিত প্রভাব সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ দশম শ্রেণীর জন্য বই প্রয়োজন ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার৷ এরমধ্যে বই এসেছে ২ লক্ষ ২৬ হাজার ৮২০টি৷ দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য বই প্রয়োজন ২ লক্ষ ৬৮ হাজার৷ এরমধ্যে বই এসেছে ৮০ হাজার ২০০টি৷ রাজ্যে করোনাজনিত প্রভাবের কারণে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর বাকি বইগুলিও পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান৷