গত ৪ মার্চ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, সেনা শাসকরা জবরদস্তি বিক্ষোভ থামাতে চাইছে। তারা নির্বিচারে মানুষকে ধরছে। আটকে রাখছে। গত ছয় সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভে অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। রেল কর্মীরা ধর্মঘটে নেমেছেন। ট্রেড ইউনিয়নগুলো ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ফলে দেশটির অর্থনীতির হাল খুবই খারাপ। অং সান সু চির এনএলডি’র নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে যারা গ্রেপ্তার এড়িয়ে আত্মগোপন করতে সক্ষম হয়েছেন তারা একটি ‘পাল্টা সরকার’ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছে।
এর নাম কমিটি ফর রিপ্রেজেন্টিং পাইডাংসু লুত্তাও বা সিআরপিএইচ। মান উয়িন খাইং থান এর অস্থায়ী প্রধান। সিআরপিএইচ মিয়ানমারের বৈধ সরকার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। শনিবার গোপন অবস্থান থেকে ফেইসবুকের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে খাইং থান বলেন, ‘এটি জাতির জন্য এখন সবচেয়ে অন্ধকার মুহূর্ত, কিন্তু সামনেই ভোর।’