তাতে অন্যদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেছে দুয়ার। করোনা হানা দেওয়ার বছর- ২০২০ সালে ব্যালন ডি’অর দেওয়া হয়নি। সে বছর এই পুরস্কারের জোর দাবিদার ছিলেন রবার্ট লেভানডোস্কি। এবার ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর থেকে বার্সা ও জুভেন্টাসের বিদায়ে শতাব্দীর সেরা দুই খেলোয়াড়ের এই পুরস্কার পাওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও মেসি ও রোনালদো দুজনের সামনেই অন্য আরো শিরোপা জয়ের সুযোগ রয়েছে। বার্সেলোনা এখনো লিগ শিরোপা ও কোপা ডেল রে’র শিরোপা জয়ের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাস সিরি আ শিরোপা লড়াইয়ে শীর্ষ দুই ক্লাব ইন্তার ও এসি মিলানের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। তবে কোপা ইতালিয়ান ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তুরিনের জায়ান্টরা। এ বছর ব্যালন ডি’অর জয়ের ইতিহাসে আরো একটি মাইলফলক যোগ হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, আর্জেন্টাইন মেসি ও পর্তুগিজ তারকা রোনালদো তাদের ক্যারিয়ারের শেষ ব্যালন ডি’অর ইতিমধ্যেই জয় করে ফেলেছেন। এবার পুরস্কারটির জন্য বাজিকরদের তালিকায় থাকছেন পিএসজির তরুণ কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইতিমধ্যেই এই ফরাসি তরুণ নিজেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে প্রমাণ করেছেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে বার্সেলোনার বিপক্ষে ক্যাম্প ন্যুতে হ্যাটট্রিক করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন লেভানডোস্কি। যদিও কিছুটা হলেও তিনি এমবাপ্পের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। তবে গত মৌসুমে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব ছিনিয়ে নেয়া এই পোলিশ তারকা এবারো নিজেকে প্রতিটি ম্যাচেই সমানতালে প্রমাণ করে চলেছেন। নতুন প্রজন্মের আরেক প্রতিনিধি আর্লিং হালান্ডের সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সম্ভবত তার কারণেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ড এখনো প্রতিযোগিতায় টিকে রয়েছে।
বিশ্বের সেরা এই পুরস্কারের জন্য নেইমার দীর্ঘদিন ধরেই অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু ২০২১ সালে ইনজুরির কারণে ইতিমধ্যেই তিনি এই তালিকা থেকে বেশ খানিকটা দুরে সড়ে গেছেন। আতলেতিকো মাদ্রিদকে লা লিগার শিরোপা উপহার দিতে পারলে লুইস সুয়ারেজও নিজেকে ব্যালন ডি’অর জয়ের জন্য একজন শক্ত প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। এই তালিকায় কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আরো রয়েছেন কেভিন ডি ব্রুইনা, ব্রুনো ফার্নান্দেজ ও হ্যারি কেন।