নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে।। ত্রিপুরায় করোনার উৎসের সন্ধানে ৩ সদস্যক একটি টিম আগামীকাল আসছে। তাঁরা করোনা আক্রান্ত স্থান পরিদর্শন করবেন। ত্রিপুরা সরকারের অনুরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মেঘালয়-র শিলংস্থিত নেইগ্রীম্স থেকে ওই টিম আসছে। কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাঃ জি কে মেধি-র নেতৃত্বে ওই টিম ত্রিপুরা সফর করবে। ওই টিম-র অন্য সদস্যরা হলেন নেইগ্রীম্স-র অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ ভূপেন বর্মন এবং শিলংস্থিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ রিজিওনাল অফিসের আঞ্চলিক অধিকর্তা ডাঃ এস ডি মজুমদার। ত্রিপুরায় অধিকাংশ করোনা আক্রান্তই বিএসএফ-র জওয়ান ও তাঁদের পরিবারের সদস্য। এক্ষেত্রে করোনা-র উৎস খুঁজে বের করতে পারেনি ত্রিপুরা সরকার এবং বিএসএফ। তাই, ত্রিপুরা সরকার এনসিডিসি-র কাছে করোনা-র উৎস খুঁজে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। সে মোতাবেক স্টেট সার্ভেলেন্স অফিসার সেন্ট্রাল সার্ভেলেন্স ইউনিট-কে করোনা আক্রান্তের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। মূলত, গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকানোর লক্ষ্যেই ত্রিপুরা সরকার চাইছে বিশেষজ্ঞ টিম করোনা-র উৎস খুঁজে বের করুক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ত্রিপুরা সরকারের আগ্রহে তিন সদস্যক এক টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সে মোতাবেক শিলং থেকে বিশেষজ্ঞরা ত্রিপুরায় আসছেন স্থির হয়। এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আগামীকাল দুপুরের মধ্যে শিলং থেকে বিশেষজ্ঞ একটি টিম ত্রিপুরা আসছে। বিকেল ৫টায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্স-এ তাঁরা উপস্থিত থাকবেন। আগামী পরশু থেকে তাঁরা স্থানীয়স্তরে পর্যবেক্ষন শুরু করবেন। সম্ভবত, ওই বিশেষজ্ঞ টিম করোনা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করবেন। তাছাড়াও সংক্রমণের বিভিন্ন দিক খাটিয়ে দেখবেন। ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সাথেও এ-বিষয়ে আলোচনা করবেন। কারণ, করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দফতর-কে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।