কিন্তু সেরা চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিশ্চিত করার ব্যাপার তো আছে! সেখানেও ক্রমেই পিছিয়ে পড়েছে দলটি। অথচ গত মৌসুমে এই লিভারপুলই ১৮ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে লিগ শিরোপা জিতেছিল। জানুয়ারিতে বার্নলির বিপক্ষে হারের আগে লিগে টানা ৬৮ হোম ম্যাচে ছিল অপরাজিত। বার্নলির পর দলটি ঘরের মাঠে একে একে হারল ব্রাইটন, ম্যানচেস্টার সিটি, এভারটন, চেলসি এবং ফুলহ্যামের বিপক্ষে। আগের ম্যাচে চেলসির বিপক্ষে হেরেছিল লিভারপুল।
সেই ম্যাচের দলে ৭ সাত পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে ক্লপের দল। তবে ফুলহ্যামের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ভুগতে দেখা যায় দলটিকে। অতিথিরা লিডও নিয়ে নেয় বিরতির বাঁশি বাজার আগে। ৪৫তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আসা ফ্রি কিক ক্রস বিপদমুক্ত করতে পারেনি লিভারপুল। ডি বক্সের ঠিক বাইরে মোহামেদ সালাহর কাছ থেকে বল কেড়ে ভেতরে ঢুকেই দূরের পোস্টে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন মারিও লেমিনা। ডানে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক আলিসন।
ডিসেম্বরে দুই দলের প্রথম পর্বের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল। ২০১২ সালের পর এই প্রথম অ্যানফিল্ডে জয় পেল ফুলহ্যাম। যে জয়ের সুবাদে ২৮ ম্যাচে পাঁচ জয় ও ১১ ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট দলটির। রয়েছে ১৮তম স্থানে। অন্যদিকে ২৮ ম্যাচে ১২ জয় ও সাত ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে লিভারপুল। ২৮ ম্যাচে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। অর্থাৎ পেপ গার্দিওলার দলের থেকে ২২ পয়েন্ট পিছিয়ে লিভারপুল।