দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিয়ানমারের নেতা সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানানোর একদিন পর মিয়ানমারজুড়ে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৩০ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া কয়েক শ জনকে আটক করা হয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলমান রয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী।
তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান। এরপর ১ মার্চ একদিনেই মারা যান ১৮ জন।