নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ মে৷৷ পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম সরকার ট্রেনের অনুমতি দিচ্ছে না৷ তাই আপাতত বাসে ত্রিপুরার নাগরিকদের আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ তবে কিছুদিনের মধ্যেই ট্রেনের বন্দোবস্ত হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন ও শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ৷ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী বহিঃরাজ্যে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের সম্মতির প্রয়োজন৷
ত্রিপুরার প্রচুর মানুষ লকডাউনে বহিঃরাজ্যে আটকে রয়েছেন৷ তাঁদের এখন ত্রিপুরায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা হচ্ছে৷ শনিবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আইনমন্ত্রী বলেন, কর্ণাটকে ত্রিপুরার নাগরিক ৮,৭৫৮ জন আবদ্ধ৷ তাঁদের মধ্যে ১,২০০ জনকে নিয়ে আগামীকাল ট্রেন ত্রিপুরার উদ্দেশে রওয়ানা দেবে৷ তার জন্য ত্রিপুরা সরকার ইতিমধ্যে ১২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা রেলওয়েকে দিয়েছে৷
এদিকে, তামিলনাড়ুতে ত্রিপুরার নাগরিক ৫,৯৫৭ জন রয়েছে আটকে৷ তাঁদের মধ্যে ১,১৪০ জনকে নিয়ে ট্রেন আসবে৷ তবে, ওই প্রক্রিয়ায় ৫-৬ দিন সময় লাগবে, জানিয়েছেন মন্ত্রী৷ তাঁর দাবি, সমস্ত রাজ্যে ট্রেনে ত্রিপুরার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে সম্মত হচ্ছে না৷ পশ্চিমবঙ্গ এখনও এ-বিষয়ে রাজি হয়নি৷ তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ৫,১৪৫ জন ত্রিপুরার নাগরিক আটকে রয়েছেন৷ কিন্তু সে রাজ্যের সরকার ট্রেনে তাঁদের ত্রিপুরায় পাঠাতে রাজি হয়নি৷ তাই আগামীকাল ১০০ জন যাত্রী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশে বাস ছাড়বে৷
শিক্ষামন্ত্রীর আরও দাবি, অসম সরকারও ট্রেনে ত্রিপুরার নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে সম্মত হয়নি৷ তিনি বলেন, অসমে ৩,৫০০ জন ত্রিপুরার নাগরিক রয়েছেন৷ তাঁরা ত্রিপুরায় ফেরার জন্য আবেদন জানিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে ৭০০ জনের পাস তৈরি হয়েছে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, বহিঃরাজ্যে আটকে পড়েছেন যাঁরা তাঁদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে উভয় রাজ্যের সম্মতি মিললে তবেই তা সম্ভব৷ তাতে কোনও এক রাজ্য অসম্মতি প্রকাশ করলে আটকে পড়াদের ফিরিয়ে আনা যাবে না৷