অনলাইন ডেস্ক, ২৮ ফেব্রুয়ারী।। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ দমনে সহিংস হয়ে উঠেছে সেনাশাসকেরা। রবিবার বিক্ষোভকারীদের প্রতি তাজা বুলেট, রাবার বুলেট এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।
দেশটিতে টানা কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভে এদিন উত্তপ্ত হয়ে উঠে ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় এবং দেওয়েই শহর। সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে জনতা।
বিক্ষোভ দমনে সহিংস হয়ে উঠে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দিকে ছোড়া গুলিতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবর পাওয়া যাচ্ছে।
চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সূত্রে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে একই সূত্রে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, অন্তত সাতজন মারা গেছেন।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসমর্থিত সূত্রে নিহতদের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা যাচ্ছে, ২০ জনের বেশি।
১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার পর রবিবারই সবচেয়ে বেশি সংঘর্ষ হয়েছে মিয়ানমারে। বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশটিতে বিক্ষোভ চলমান রয়েছে।
সেনা অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী। তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান।