নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ মে৷৷ ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমনের উৎস-র খুঁজে দিল্লি থেকে বিশেষজ্ঞ দল আসছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারও ত্রিপুরার অনুরোধে সম্মতি দিয়েছে৷ তাই, ত্রিপুরা সরকারের অনুরোধে শীঘ্রই এনসিডিসি(ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিসিজ কন্ট্রোল) থেকে বিশেষজ্ঞ-রা আসছেন৷
ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমিত-র সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে৷ প্রথম দুই জন করোনা আক্রান্তের সংক্রমনের উৎস খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল৷ কিন্ত, বিএসএফ জওয়ান-রা করোনা সংক্রমিত চিহ্ণিত হওয়ার পর থেকে সংক্রমন-র উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ বিএসএফ ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়ান, গন্ডাছড়া এডম বেস ও করিনা বিওপি এবং এখন কমলপুর মহকুমায় ধলাই ঘাট বিওপি-তে জওয়ান করোনা আক্রান্তের ঘটনায় সংক্রমনের উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷
এ-বিষয়ে ত্রিপুরা সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এস কে রাকেশ বলেন, বিএসএফ ৩ নম্বর ব্যাটেলিয়ান নালকাটায় অবস্থিত৷ কিন্ত, ওই ব্যাটেলিয়ান-র করোনা আক্রান্ত জওয়ান ১১ মার্চ থেকে ধলাই ঘাট বিওপ-তে কর্মরত রয়েছেন৷ তাছাড়া, বিএসএফ-র প্রথম করোনা আক্রান্ত জওয়ানের সাথেও তার কোন যোগাযোগ ছিল না৷ ফলে, সংক্রমন ছড়াচ্ছে কিভাবে সেই উৎস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ তাঁর কথায়, আমবাসা জওহরনগরস্থিত বিএসএফ ১৩৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের মুখ্য কার্যালয়ে সংক্রমনের উৎস রয়েছে বলে প্রাথমিক ধারনা করা হয়েছিল৷ কিন্ত, কমলপুর মহকুমায় ধলাই ঘাট বিওপি-তে জওয়ানের করোনা সংক্রমিত-র ঘটনায় নতুন করে ভাবতে হচ্ছে৷
তিনি বলেন, বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার-র আইজি-র সাথে এ-বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ সচিবালয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেনঊ অতিরিক্ত মুখ্য সচিব-র কথায়, সংক্রমন জনিত রোগের কারণ খুঁজে বের করার জন্য এনসিডিসি দেশের মধ্যে সবচেয়ে সেরা সংস্থা৷ আমরা তাদের সাথে ক্রমাগত যোগাযোগ করছি৷ শীগ্রই বিশেষজ্ঞ দল ত্রিপুরায় আসবে, বলেন তিনি৷