একুশের ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। ভোটের আগে প্রায় নিয়ম করে রাজ্যে আসছেন মোদী-শাহ-নাড্ডারা। সোমবার ফের ঝটিকা সফরে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একগুচ্ছ রেল প্রকল্পের সূচনার পাশাপাশি এদিন হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ ময়দানের জনসভায় বক্তব্য রাখেন নমো। ভাষণে এদিন আগাগোড়া আক্রমণ শানিয়ে গিয়েছেন শাসকদল তৃণমূলকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কড়া সমালোচনা করে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এরাজ্যে বাড়ি-বাড়ি বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের কাজে ১৭০০ কোটি টাকারও বেশি দিয়েছিল।
সেই টাকার মধ্যে মাত্র ৬০৯ কোটি টাকা খরচ করলেও বাকি টাকার হিসেব নেই।’’ একইসঙ্গে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এদিন ফের প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। তাদের কখনও মাফ করা যায় কি? এরাজ্যের মহিলাদের জন্য কোনও ভাবনা নেই তৃণমূল সরকারের।’’ এর আগেও একাধিক ইস্যুতে বিজেপি নেতারা রাজ্য সরকারের সমালোচনা করলেও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এই প্রথম। এর আগে আমফান ঝড়ে কেন্দ্রের দেওয়া ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে।
রাজ্যের শাসকদলের নেতারা আমফানের টাকা নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।বিজেপি তো বটেই আমফানের টাকা নিয়ে দুর্মীতির অভিযেগা তুলে রাজ্য় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বাম-কংগ্রেসও। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে পর্যন্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশেই আমফানের টাকা বিলি নিয়ে অডিট করছে ক্যাগ।
শুধু আমফানের ক্ষতিপূরণ নয়, লকডাউনের সময় কেন্দ্রের পাঠানো রেশন পণ্য নিয়েও রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় তৃণমূল লনেতাদের মদতে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের চাল, ডাল না দিয়ে তা নিয়েও স্বজনপোষণের অভিযোগ তোলে বিরোধীরা। যদিও একাধিক ক্ষেত্রে বিরোধীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলে শাসকদল তৃণমূলও।