তবে তারা বলছেন, নৌকাটির সবাই বাংলাদেশের কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে প্রায় ১০ দিন আগে যাত্রা শুরু করে।ইউএনএইচসিআর বলেছে, নৌযানটিতে আটকে পড়া শরণার্থীদের শারীরিক অবস্থা খুবই শোচনীয় এবং তারা মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছে।এরই মধ্যে বেশ কয়েক জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কয়েকজন প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।নৌযানটিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা জানিয়েছে, কয়েক দিন আগেই খাবার এবং পানি শেষ হয়ে গেছে।
সপ্তাহখানেক আগে নৌযানটির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সেটি সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে।তবে নৌযানটির অবস্থান সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি সংস্থাটি। বিষয়ে ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্টাবারফিল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সর্বশেষ সোমবার ভোরের দিকে ওই নৌযানটির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। নৌযানে থাকা শরণার্থীদের জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দরকার।
তবে আন্দামান সাগরে নৌযানটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে সুনির্দিষ্ট কোনো দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা না হলেও ওই এলাকায় পরিচালিত সব নৌ-কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।সেই সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জলসীমায় নৌযানটিকে খুঁজতে পাওয়া গেলে তাদের উদ্ধার করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে কক্সবাজার কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা তারা এখনো জানে না।