রাজ্যের বর্তমান সরকার বনজ সম্পদকে রক্ষা করার জন্য নানা ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে৷ এতে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় বলেন, বনকে কেন্দ্র করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন৷ তাদের এই জীবিকাকে সমৃদ্ধ করার জন্য রাজ্য সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ বন এবং বনজ সম্পদকে রক্ষা করার উপর রাজ্য সরকার দারুণভাবে গুরুত্ব দিয়েছে৷ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন দপ্তরের প্রধান সচিব বরুণ কুমার সাহু বলেন, মানুষকে বন ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কে আরও বেশি সচেতন করে তোলার লক্ষ্যেই হর্ণবিল উৎসবের আয়োজন করা হয়৷
তিনি বন সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে আরও বেশি উৎসাহিত করে তোলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পিসিসিএফ ডা. ডি কে শর্মা৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুখ্য বন সংরক্ষক অমিত শুক্লা৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের এডিজি শিশির কুমার রাঠোর, খোয়াই জেলা বন আধিকারিক ডা. নীরজ কুমার চঞ্চল৷ অনুষ্ঠানে অতিথিগণ তিনটি স্বসহায়ক দলের সদস্যদের হাতে ৩ লক্ষ টাকার চেক ও ৪টি বায়োডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট কমিটির প্রতিনিধিদের হাতে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার চেক তুলে দেন৷ অনুষ্ঠানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়৷ উল্লেখ্য, গত ১০ ফেবয়ারি থেকে খোয়াই জেলার বিভিন্ন গ্রামে স্থানীয়ভাবে হর্ণবিল উৎসবের আয়োজন করা হয়৷ আজ বড়মুড়ার হাতাইকতর ইকোপার্কে মূল অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়৷