নতুন প্রতিনিধি, মুম্বই, ১৪ এপ্রিল: ২১ দিনের লকডাউন জারি হওয়ার পর বিভিন্ন রাজ্যে আটকে যান বহু শ্রমিক। অনেকেই পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে বাড়ি ফিরেছে, সেই দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। এবার ২১ দিনের মাথায় এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখা গেল মুম্বইয়ের বান্দ্রা স্টেশন।
এরকম অনেক শ্রমিকই আশা করেছিলেন ১৪ এপ্রিল লকডাউন শেষ হয়ে যাওয়ার পর ট্রেনে চেপে বাড়ি ফিরবেন তাঁরা। কিন্তু এদিন সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে। এরপরই লকডাউন বাড়ানোর প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমে পড়েন বহু মানুষ। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স সিংয়ের কথা ভুলে গিয়ে জড় হয় শ’য়ে শ’য়ে মানুষ।
অবশেষে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। তিন সপ্তাহের লকডাউনে রোজগার হারিয়েছেন অনেকে। যদিও সরকার থেকে বিনা পয়সায় খাবার দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে তবুও দুবেলা খাবার জোটাতে পারছেন না তারা। গ্রামে ফেরার ব্যবস্থা নেই কারণ সব পরিবহন বন্ধ।
এদিন লকডাউন জারি করার পর কিছু নিয়ম পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন মোদী। ২০ এপ্রিলের পর সেই নতুন নিয়ম জারি হবে।
যারা দিন আনি দিন খাই সম্প্রদায়ভুক্ত, তাদের স্বার্থের কথা চিন্তাভাবনা করেই নতুন নিয়ম জারি হবে। এছাড়াও এই মুহুর্তে সরকারের চিন্তায় বিষয় নতুন শষ্য ওঠার বিষয়টি। মাঠে এখন রবি শষ্য উৎপাদনের কাজ চলছে। সেই কাজে যাতে বাধা না পড়ে, সেদিকেও নজর রাখছে কেন্দ্র। এদিন নিজের ভাষণে মোদী বলেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে। তবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের দিকটি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সমস্যায় রয়েছে দিনমজুররাও। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, তাদের রোজগারও বন্ধ হয়ে রয়েছে।
তবে কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনার মাধ্যমে তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করে চলেছে। মঙ্গলবার জাতির উদ্দ্যেশ্যে ভাষণ দেওয়ার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক সারেন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজার অধ্যাপক কে বিজয় রাঘবন, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পি কে মিশ্র, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি আর কে গৌবা, এদিনের বৈঠকে আরোগ্য অ্যাপ নিয়েও আলোচনা চলে।