পরে মৃতদেহের নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছিল ছানা দুটির শরীরে। সংক্রমণ গভীরে ছড়িয়ে গিয়েছিল। নানারকম শারীরিক জটিলতা দেখা যাচ্ছিল এবং সে কারণেই তাদের মৃত্যু হয়।
ফেলাইন প্যানলিউকোপেনিয়া নামে একধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ আগেও হয়েছে লাহোরের চিড়িয়াখানায়। মূলত বাঘ বা বিড়াল জাতীয় প্রাণীদের শরীরে সংক্রমণ ছড়ায় এই ভাইরাস। তাই শুরুতে মনে করা হয়েছিল সাদা বাঘের ছানা দুটিও এই সংক্রমণে আক্রান্ত।
লাহোর চিড়িয়াখানার ডেপুটি ডিরেক্টর কিরণ সালিম বলেছেন, রিয়েন টাইম আরটি-পিসিআর টেস্ট করে বাচ্চা দুটির রক্তে করোনার জীবাণু মিলেছে। চিড়িয়াখানার অন্তত ৬ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত। তাঁদের মধ্যে একজন ওই বাচ্চা দুটির দেখাশোনা করত। তাঁর থেকেই সংক্রমণ ছানা দুটির শরীরে ঢুকেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এমনিতেই বিরল সাদা বাঘ। তার ওপর লাহোরের চিড়িয়াখানার দুটি সাদা বাঘের বাচ্চার মৃত্যুতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে লাহোরের পশু সংরক্ষণ ও অধিকার রক্ষা কমিটি। তাদের বক্তব্য, সঠিক পরিচর্চার অভাব ও অবহেলায় চিড়িয়াখানায় একশোর বেশি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে।
বিরল প্রজাতির এই সাদা বাঘের বাচ্চা দুটির ঠিকমতো দেখভাল করা হয়নি। তাদের খাওয়ানোর দায়িত্বে ছিল যে কর্মচারী তারই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁরা দাবি করেছেন, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত গাফিলতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে।