ব্রিটিশ মিডিয়া রেগুলেটর-অফকম এ মাসের শুরুতে চীনের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল চীনা গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কসের (সিজিটিএন) লাইসেন্স বাতিল করায় এ পদক্ষেপ নিল বেইজিং। স্টার চীনা মিডিয়া লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি অন্যায়ভাবে যুক্তরাজ্যে সিজিটিএনের লাইসেন্স নেয় বলে দাবি করে অফকম। এ ছাড়া গত বছর ব্রিটিশ সাংবাদিক ও গোয়েন্দা হিসেবে পরিচিত পিটার হাম্প্রির জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি প্রচারের অভিযোগও আনা হয় চীনা চ্যানেলটির বিরুদ্ধে। এদিকে চীনা স্টেটস ফিল্ম, টিভি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানাচ্ছে, বিবিসির বিরুদ্ধে সম্প্রচার নীতিমালা লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের ভাষ্য, সংবাদ হওয়া উচিত সত্য ও ন্যায়সঙ্গত এবং চীনা জাতীয় স্বার্থের জন্য হানিকর নয়।
কিন্তু ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি তা মেনে চলেনি। এক প্রতিক্রিয়ায় বিবিসি জানায়, চীনা কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে আমরা হতাশ হয়েছি। বিশ্বব্যাপী স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে এবং কোনো ধরনের ভয় ও আনুকূল্য ছাড়াই আন্তর্জাতিক সংবাদ সম্প্রচার ও প্রচারে অন্যতম বিশ্বস্ত মাধ্যম বিবিসি। আগ থেকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির ওপর কড়াকড়ি আরোপ ছিল চীনে। বিশ্বজুড়ে বিবিসির ইংরেজি সম্প্রচার মাধ্যমটি সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও চীনে সেটি শুধু আন্তর্জাতিক হোটেল, কিছু কূটনৈতিক এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল। অধিকাংশ চীনা জনগণের সেটি দেখার সুযোগ ছিল না।এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এক প্রতিক্রিয়া জানায়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ অগ্রহণযোগ্য।