নতুন প্রতিনিধি, নয়াদিল্লী , ১০ এপ্রিল : দেশজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা আতঙ্কে কাঁপছে সারা বিশ্ব। এরই মধ্যে টাকার মাধ্যমেই করোনা ও অন্যান্য ভাইরাস ছড়াচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানাল কনফেডারেসন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডারস।
সিএআইটি জানাচ্ছে, নোটে যদি ভাইরাস থাকে, তবে তা জনগণের স্বাস্থ্যের পক্ষে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ, নোটগুলি সহজেই সংক্রামক রোগগুলির বাহক। তাঁরা জানিয়েছে, সরকারের উচিৎ বিকল্প পদ্ধতিতে অর্থ গ্রহণ ও দেওয়ার ব্যাপারে লোকজনকে উৎসাহিত করে তোলা।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে পাঠানো একটি চিঠিতে সিএআইটি জানাচ্ছে, করোনা ভাইরাস এমন এক ভাইইরাস যা কিনা, কোনও ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ফলে ছড়িয়ে যেতে পারে, এমনকি যদি যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা না হয়, তবে নগদের ব্যবহারের ফলেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। তবুও কোনও ভাবেই টাকার ব্যবহার এড়ানো সম্ভব নয়। তাই তাঁদের বক্তব্য, মুদ্রা নোটের মাধ্যমে যে কোনও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে তাত্ক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের। শুধু নির্মলা সীতারমণ না, একই চিঠি গিয়েছে হর্ষবর্ধন এবং পীযূষ গয়ালের কাছেও।
সিএআইটি-র সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, নোটগুলিতে এমন অণুজী ব রয়েছে যা রোগ ও সংক্রমণ ঘটাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মুদ্রা নোটের মাধ্যমে মূত্র ও শ্বাসনালীর সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ এবং মেনিনজাইটিস সহ বেশ কয়েকটি রোগ সংক্রমণ হতে পারে।
সিএআইটি পরামর্শ দিয়েছে, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডার মতো দেশগুলি মুদ্রার মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি হ্রাস করতে নোট অনেকাংশে তুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং ভারতে পলিমার নোট ব্যবহারের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা উচিত বলে জানিয়েছে সিএআইটি।
উল্লেখ্য, কদিন আগেই জি বিজনেস নামে একটি সর্বভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছিল, একটি রিসার্চের দাবি ভারতীয় মুদ্রায় ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগেও একটি সমীক্ষার তরফে দাবি করা হয়েছিল ভারতীয় নোটে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থাকে। এমনকি ভারতীয় বিজ্ঞানীদের একটি প্যানেল নোট নিয়ে রীতিমতো পরীক্ষাও চালিয়েছিল।
একটি রিসার্চের শেষে দাবি করা হয়েছিল ভারতীয় নোটে ফাঙ্গাস ও প্রোটোজোয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। বিজ্ঞানীরা তাঁদের পরীক্ষায় ১০, ২০, ১০০ টাকার নোট ব্যবহার করেছিলেন। রোগ জীবাণু খুঁজে পেতেই এই পরীক্ষা চালিয়েছিল বিজ্ঞানীরা।