অনলাইন ডেস্ক, ৭ ফেব্রুয়ারী।। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার কেন্দ্রীয় বাজেটের পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলের জন্য বরাদ্দ অর্থরাশির জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর সাথে তিনি বর্তমান ও ভবিষ্যতের রেলের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
মাঁলিগাঁও এ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য কার্যালয়ে নিজের কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার অংশুল গুপ্তা। জিএম গুপ্তা বলেন, বাজেট ২০২১ ভারতীয় রেলের জন্য এক ঐতিহাসিক বাজেট। তিনি ঐতিহাসিক রেলের জন্য বরাদ্দ ধন ও বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন, এই বাজেট ভারতীয় রেলওয়ে কে আরও সুদৃঢ় করে তুলবে।
অংশুল গুপ্তা বলেন, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জন্য ৮,০৬০ কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে এই বাজেট ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪,৩৩০ কোটি টাকা নতুন রেলপথ নির্মাণ ও ডাবল রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণের জন্য এবং ৩,৪৭০ কোটি টাকা রেলওয়ের সুরক্ষা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজকর্মের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
রেল যাত্রীদের সুবিধা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য এই বাজেটে ১৬৬ কোটি টাকা প্রদান করা হয়। তিনি আরও বলেন, সেদিক থেকে রেলওয়ের জন্য বরাদ্দ ২০২১-২২ বর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেটে এ পর্যন্ত সর্বমোট আবন্টন।২০০৯-১৪ বর্ষ থেকে প্রায় ২৩৮% অধিক। যা বিগত বাজেট গুলোতে বছরে মাত্র ৩,৩৮৩ কোটি টাকা ছিল।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ জানান, এই বর্ষের বাজেটে নিউ বঙ্গাইগাঁও আগিয়াঠুরি ডাবল ট্রাক রেলওয়ে প্রকল্প ৬৫০ কোটি টাকা, নিউ বঙ্গাইগাঁও – গোয়ালপাড়ায় – গুয়াহাটি খন্ডের জন্য ৬১০ কোটি টাকা এবং ডিগারু- হোজাই ও নিউ ময়নাগুড়ি – গুমনিহাট রেলপথে ডাবল ট্র্যাকের জন্য যথাক্রমে ১০০ কোটি ও ১১০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এ বছরের বাজেটে বিশেষ করে প্রাথমিক পরিকাঠামোর বিকাশ, ট্রেনের গতি বৃদ্ধি ও টার্মিনালের সুবিধা এবং বিকাশ, যাত্রী ও অন্যান্য উপভোক্তাদের জন্য সুবিধা ও বিকাশ, সড়ক সুরক্ষা, ওভার ব্রিজ নির্মাণ, সুরক্ষা ও গতি বাড়ানোর জন্য সিগন্যাল সিস্টেমের আধুনিকরনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
নতুন লাইন প্রকল্পের মধ্যে সিবেক- রংপুর প্রকল্পের জন্য ১,১০০ কোটি টাকা, তেতলিয়া – বার্নিহাট প্রকল্পের জন্য ১০১ কোটি টাকা, আগরতলা – আখাউড়া প্রকল্পের জন্য ৩০০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
অন্য নতুন প্রকল্প যেমন – – জিরিবাম – ইম্ফলের জন্য ১,০০০ কোটি টাকা, ভৈরবী – সাইরাং প্রকল্পের জন্য ১,০০০ কোটি টাকা এবং ডিমাপুর-জুব্বা প্রকল্পের জন্য ৮০০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভারতীয় রেলের ২০৩০ পর্যন্ত বিভিন্ন বড় প্রকল্পগুলোর ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ করা হবে ।
ভারতীয় রেল বৈদ্যুতিকরণ এর কাজ চলতি বছরের মার্চ মাসে গুয়াহাটি পর্যন্ত সম্পন্ন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের বাকি অংশের কাজ ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত শেষ করার লক্ষ রাখা হয়েছে বলে জানান, জনসংযোগ আধিকারিক।