অনলাইন ডেস্ক, ৭ ফেব্রুয়ারী।। উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ফেটে তুষার ধসের ঘটনায় উদ্ধার হল ১০ জনের মৃত দেহ। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের ঘটনায় মোট হতাহতের সংখ্যা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। তবে কমপক্ষে ১৫০ জন মানুষ নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎই ফেটে যায় চামোলি জেলায় অবস্থিত একটি হিমবাহ। এরপর পাহাড় বেয়ে তুষার ঝস নামতে থাকে উপত্যকার দিকে। বেড়ে যায় নদীর জলস্তর। ঘটনায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ধৌলিগঙ্গা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের।
মনে করা হচ্ছে এই প্রকল্পের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। নিখোঁজ রয়েছেন এই প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকরাও। এছাড়াও জোশীমঠের কাছে নদীর বাঁধ ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কয়েকটি গ্রামে। ভেঙে গিয়েছে জোশীমঠ থেকে তপোবন সংযোগকারী একটি সেতু।
তপবনে আর একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পেরও কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শণ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত। রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
উদ্ধারকার্যে নামানো হয়েছে সেনার ৬টি কলম, বায়ুসেনা, আইটিবিপি, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফকে। বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের কর্মীরাও দ্রুত রাস্তা পরিস্কারের কাজ শুরু করেছেন। তবে এই এই তুষার ধসের ফলে যে হরপা বানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তা আপতত নেই বলেই জানাচ্ছে প্রশাসন। তবে কয়েকটি নদীর জলস্তর বেড়েছে।
এদিন হলদিয়ার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন গোটা দেশ উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে। এরআগে একটি টুইটও করেন মোদি। এই দুর্ঘটনা নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন, ‘উত্তরাখণ্ডের ঘটনায় তিনি শোকাহত।
যাঁরা এই বিপর্যয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারবর্গকে আমার সমবেদনা জানাই।’ তবে শীতকালে সাধারণত হিমবাহ ফাটার ঘটনা ঘটেনা। তাই এই ঘটনা ভাবাচ্ছে পরিবেশবিদদের। কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।