রাজ্যের মহিলাদের মধ্যেও এখন স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৬ ফেব্রুয়ারী।। রাজ্যের মানুষের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠেছে৷ মহিলাদের মধ্যেও এখন স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা দেখা যাচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহিলাদের স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করার ফলেই মানসিকতায় এই পরিবর্তন এসেছে৷ আজ দুপুরে বোধজংনগর শিল্পকেন্দ্রস্থিত গিরিবালা উদ্যোগ প্রাইভেট লিমিটেডের একটি রেডিমেড পোশাকের কারখানা পরিদর্শনকালে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত মহিলা কর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন৷

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দক্ষ নেতৃত্বের ফলেই মহিলা স্বশক্তিকরণের বিভিন্ন দিক সমাজে প্রতিফলিত হচ্ছে৷ মহিলারা কর্মসংস্থানে উৎসাহিত হচ্ছেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর ভারতের একটি মডেল রূপ আজকের এই অনুষ্ঠানে দেখা যাচ্ছে৷ আগে মহিলারা কাজ করতেন কিন্তু তাদের কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিলনা৷ পরিবারের কর্তার নামেই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট হতো৷ মহিলাদের নানা ধরনের কথা শুনতে হতো৷

কিন্তু এই মানসিকতাকে বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এমন অনেক প্রকল্প রয়েছে যার সুুবিধা সরাসরি মহিলাদের অ্যাকাউন্টে যুক্ত হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে এমন কোনও পরিবার নেই যে পরিবারের কোন না কোন সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই৷ ২০২১-২২ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেটে কর আরোপ হবে বলে অনেকের আশঙ্কা ছিল৷

কিন্তু জনহিতকর এই বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে ২ লক্ষ ৮৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা আগের তুলনায় ১৩৮ শতাংশ বেশি৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্মরত মহিলা কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার চেষ্টা করছি তার জন্য উদার মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে৷ মহিলাদেরও সেই স্বনির্ভরতার যাত্রাপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোকাল ফর লোকাল স্প্লোগান সারা দেশে বিস্তার লাভ করছে৷

এরফলে মানুষের মধ্যে দেশীয় পণ্যের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে৷ এই কারখানার উৎপাদিত সামগ্রীর গুণমান যাতে ভাল হয় সেজন্য কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্যও মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে৷ কিভাবে বাজার দখল করতে হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে৷ এ সরকার স্বনির্ভরতার প্রতীক৷ মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, যে প্রকল্প শুরু হয়েছে তাতে সংস্থার যেমন লাভ হবে তেমনি এর সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোও উপকৃত হবেন৷ সরকার উপকৃত হবে৷

কর্মই ধর্ম-এই সত্যকে মেনে কাজ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলের প্রতি আহ্বান জানান৷ নিজেকে দুর্বল না ভেবে কর্মের প্রতি নিষ্ঠা রেখে কাজ করতে মুখ্যমন্ত্রী এদিনের ভাষণে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন৷ অনুষ্ঠানে বিধায়ক রতন চক্রবর্তী, হস্ততাঁত ও হস্তকারু উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বলাই গোস্বামী, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব প্রশান্ত কুমার গোয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?