নতুন প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ মার্চ৷৷ করোনা ভাইরাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ শুধু সরকারি পদস্থ আধিকারিক এবং কূটনীতিবিদ পাসপোর্টধারীদের যাতায়াতে অনুমতি দেওয়া হবে৷ ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে রাজ্যের গৃহ দফতরের প্রধানসচিব বিকে সাহু নির্দেশিকা জারি করেছেন৷করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বের জন্য ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ভারতেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে৷ এতে দেশের পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণের দিকে এগিয়ে চলেছে৷ তাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গতকাল জানিয়েছিলেন, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাথে আলোচনা করবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব৷ কারণ, আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল করছে৷ সেক্ষেত্রে বিদেশ থেকে যাত্রীরা বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে ত্রিপুরা তথা ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন৷ এতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকে যচ্ছে৷ তাই আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট সম্পূর্ণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷সে মোতাবেক রাজ্যের মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাথে যোগাযোগ করেছেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট বন্ধ করার অনুমতি পেয়েছেন৷ আজ রবিবার ত্রিপুরার গৃহ দফতরের প্রধান সচিব বি কে সাহু আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেছেন৷ নির্দেশিকা অনুসারে করোনা ভাইরাসের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অ্যাপিডেমিক ডিজিজ অ্যাক্ট ১৮৯৭ এবং দুর্যোগ মোকাবিলা আইন ২০০৫-এর ৩৮ ধারা অনুসারে আগরতলা ইমিগ্রেশন ল্যান্ড দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ শুধুমাত্র পদস্থ সরকারি আধিকারিক এবং কূটনীতিবিদ পাসপোর্টধারীরা ওই আদেশের আওতার বাইরে থাকবেন৷ তাছাড়া, পণ্য পরিবহণে কোনও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়নি৷