অনলাইন ডেস্ক, ৬ ফেব্রুয়ারী।।অনলাইনে তোপের মুখে পড়েছেন কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’ লিখে টুইটের জেরে কেউ যুক্তি দিয়ে সাজিয়েছেন সমালোচনা, কেউ বা করেছেন রঙ্গরসিকতা। লতা মঙ্গেশকরের টুইটের নিচে এমনই নানা মন্তব্যের বন্যা! ঠিক যেমনটা গত কয়েক দিন ধরে দেখা গেছে শচীন টেন্ডুলকারের ক্ষেত্রে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, আমেরিকার পপ তারকা রিয়ান্না, পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ কিংবা সাবেক পর্ন তারকা মিয়া খলিফা কৃষক আন্দোলনের পক্ষে মন্তব্যের পরে ভারত জুড়ে চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব থেকে খেলোয়াড়রা টুইটরে প্রতিবাদ করেন।
‘ঐক্যবদ্ধ ভারত’-এর হয়ে একের পর এক নামজাদা মানুষ নেট মাধ্যমে বক্তব্য জানাতে থাকেন। এই তালিকায় অক্ষয় কুমার, শচীন টেন্ডুলকার থেকে সাইনা নেহওয়াল— অনেকেই ছিলেন। ছিলেন লতা মঙ্গেশকরও। নিজের বক্তব্য একটি ছবি আকারে নেট মাধ্যমে প্রকাশ করেন তিনি।
টুইট করে এর আগেই একপ্রস্থ সমালোচনার মুখে পড়েন শচীন। তাকে লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে এসেছে নেট মাধ্যমে। সেই আক্রমণ থেকে রেহাই পেলেন না বর্ষীয়ান সংগীত সম্রাজ্ঞীও।
অনেকের মতে, রিয়ান্না গায়িকা বলেই, লতাকে দিয়ে এমন বক্তব্য টুইট করানো হয়েছে।শুক্রবার এ গায়িকা লেখেন, “ভারত এক অপূর্ব দেশ।
আমরা ভারতীয়রা মাথা উঁচু করে চলি। একজন গর্বিত ভারতবাসী হিসেবে আমার পূর্ণ বিশ্বাস, দেশের যে কোনো সমস্যার সমাধান আমরা নিজেরাই করতে পারব দেশের মানুষের স্বার্থ মাথায় রেখে। ”
তার টুইটের মন্তব্যের ঘরে এসে কেউ কটূক্তি করেছেন, ‘লতা দিদি তো লেখারও চেষ্টা করেননি। যেমন মোটা ভাই তাকে পাঠিয়েছেন, তেমনই সেঁটে দিয়েছেন’। কেউ আবার লিখেছেন, ‘কিশোর কুমার বা মহম্মদ রফি ভারতরত্ন না পেয়ে, আপনি কী করে পেয়ে গেলেন, এত দিন বুঝলাম। ’
আর একজনের মন্তব্য, ‘ভারত একটি মহান দেশ। যেখানে তারকাদের ভগবান বলে মানা হয়। যখন ১৭৫ জন কৃষক ঠান্ডায় বসে প্রতিবাদ করার সময়ে প্রাণ হারান, সেই তারকাদের একজনও একটি কথা বলেন না’।
কেউ কেউ এমনও বলেন, ছোটবেলা থেকেই তারা লতা মঙ্গেশকরকে নিজেদের আদর্শ বলে ভাবতেন। কিন্তু এখন আর ভাবতে পারছেন না। কারণ তিনি সরকারের হয়ে কথা বলছেন, দেশের হয়ে নয়।
এমনও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ, যে মানুষটি ‘অ্যায় মেরে বতন কে লোগো’র মতো গান গাইতে পারেন, তিনি কী করে আরএসএস এবং মোদির সমর্থক হতে পারেন?সব মিলিয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সংগীত সম্রাজ্ঞীর মুকুট যেন খুলে পড়ল অনলাইনে।