কিন্তু পরবর্তী সময় শান্তিপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রী সাথে কথা বলতে গেলে পুলিশে আচমকা আক্রমণে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা আহত হন। সেইসব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিনা খরচে চিকিৎসার পরিষেবা দেওয়ার জন্য রবিবার টিআরটিসি কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবি জানালেন জে এম সি ১০,৩২৩ শিক্ষক- শিক্ষিকারা। তবে এদিন সংগঠনের প্রণব দেব জানান, এই আন্দোলন থেমে থাকবে না। আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আবারও পুলিশের কাছে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে গন অবস্থানের অনুমোদন চাওয়া হবে।
আর যদি অনুমোদন না দেওয়া হয় তাহলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী বিভ্রান্তি ছড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন তিনি। সমাজদ্রোহীদের আন্দোলন ছিল বলে ভুল তথ্যের ছড়াচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সেদিনের আন্দোলন ছিল শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তবে পুলিশের পোশাক পরানোর নেম প্লেট ছাড়া কিছু সমাজদ্রোহী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যে ঢিল ছুড়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছিল বলে জানান জে এম সি কমল দেব। তিনি আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন গ্রুপ সি এল ডি সি এবং গ্রুপ ডি শূন্য পদে চাকরির জন্য ফর্ম পূরণ করেছে চাকরিচ্যুত শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এই তথ্যটি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। কারণ শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানেন তাদের চাকরির যায় নি। আর তারা যদি অন্য চাকরির জন্য ফর্ম পূরণ করে তাহলে সেটা আত্মসম্মান হরন হবে। তাই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আন্দোলন থেকে এক ইঞ্চি সরবেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাই আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্যারাডাইস চৌমুহনিতে পুনরায় গনঅবস্থান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।