নতুন প্রতিনিধি, কাঞ্চনপুর, ৪ মার্চ ৷৷ বৃহস্পতিবার ঘরে ফিরছেন না আনন্দবাজার থানায় আশ্রিত বাঙালি উদ্বাস্তুরা৷ কারণ, সরকারের দেওয়া সহায়তা তাদের চাহিদা অনুযায়ী হয়নি৷ ফলে, আগামীকাল কাঞ্চনপুর মহকুমার শাসকের সাথে বৈঠকের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা৷
এ বিষয়ে আজ বাঙালি উদ্বাস্তুু ফোরামের সম্পাদক রথীন্দ্র রায় বলেন, ক্ষতিপূরণের অর্থ রাজ্য সরকার সঠিক ভাবে মিটিয়ে দিচ্ছে না৷ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক হলেও ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকারের বরাদ্দ অর্থ অনেক কম হচ্ছে৷ শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের তৈরী করা তালিকা মিলিয়ে দেখার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে ক্ষতিপূরণ বাবদ পরিবারগুলি কি পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন৷ তিনি বলেন, আগামী সকালে ১৫ জন এক প্রতিনিধি দল কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসকের সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন৷ সেখানে রাজ্য সরকারের তৈরী করা ক্ষতিপূরণের তালিকা নিয়ে মহকুমা শাসকের সাথে আলোচনা হবে৷ তাতে, সরকারি সহায়তায় সন্তুষ্ট হতে পারলেই আমরা বাড়ি ফিরে যাব বলে বলেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধীতায় ডাকা বন্ধে আক্রান্ত হয়ে আনন্দবাজার থানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বাঙালি উদ্বাস্তুরা৷ প্রায় ৯৩ পরিবার সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল৷ তাদের মধ্যে ৭ পরিবার বাড়ি ফিরে গেছে৷ ওই উদ্বাস্তুদের ৫ মার্চ পর্যন্ত রেশন ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে বলে রাজ্য সরকার চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছিল৷ তবে, বাঙালী উদ্বাস্তুরা রিয়াং শরণার্থীদের মতই ১ বছরের জন্য বিনামূল্যে রেশন সামগ্রীর দাবিতে অনঢ় রয়েছেন৷ রথীন্দ্রবাবু জানিয়েছেন আগামীকাল নাগরিক সুরক্ষা মঞ্চের কর্মকর্তাদের সাথেও আলোচনা হবে৷ তাছাড়া, বিজেপি মন্ডল সভাপতি ও সহ সভাপতির সাথেও তারা যোগাযোগ করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন৷ তার দাবি, কাঞ্চনপুর মহকুমা শাসকের সাথে বৈঠকে দাবি দাওয়া নিয়ে আশ্বস্ত হতে পারলেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হবে৷ অন্যথায় আন্দোলনের বিকল্প পথ খুঁজে বের করা হবে৷