অনলাইন ডেস্ক, ২৯ জানুয়ারি।। আজও বিশ্বে বহু মানুষ আছে যারা বর্ণবৈষম্যের বিশ্বাস করেন। বহু মানুষ আছেন যারা বলেন যে, কালো হলেও মুখটা মিষ্টি। প্রশংসার মাঝেই যেন বলে দেওয়া হয় তার গায়ের রং কালো। বহু যুবক যুবতী কালো রংয়ের জন্য হীনমন্যতায় ভোগেন।
বারবার সরব হয়েছে পৃথিবী। ভবিষ্যতেও হয়তো হবে,কিন্তু মানুষের মন থেকে সাদা কালোর এই পার্থক্য হয়তো কোনদিন মুছে যাবে না।তাই বাজারে বিক্রি হয় রমরমিয়ে ফর্সা হবার ক্রিম। যা আরো একবার কালো মানুষদের ছোট করে দেয় সকলের সামনে।
তবে এই হীনমন্যতা যে কতখানি, তার একটি ছোট নিদর্শন তুলে ধরেছেন বিশেষজ্ঞ পল্লবী বর্ণয়াল। তিনি জানিয়েছেন যে, এই গায়ের রং নিয়ে তাকে মাঝে মাঝে অনেকে চিঠি লিখেন।
এমনকি অনেকে শুধুমাত্র সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর সঙ্গে রতিক্রিয়া করতে দ্বিধাবোধ করেনি শুধু গায়ের রং এর জন্য। এই দ্বিধা যে কতখানি বিস্তৃত হতে পারে তা তিনি জানিয়েছেন, সেটাই আজকে আমরা আলোচনা করব।
নাম প্রকাশ না করে তিনি তুলে ধরেছেন একজন পাঠকের কথা। সেখানে ওই ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন যে গায়ের রং ফর্সা হলেও কেন যৌনাঙ্গের রং কালো থাকে? কেন এরকম হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক কি বলেছেন বিশেষজ্ঞ।
পল্লবী জানিয়েছিলেন যে, এই ব্যাপারটি পুরোপুরি জিন ঘটিত। এর ফলে অনেক ভারতীয় নারী অথবা পুরুষদের গায়ের রং ফর্সা হলে শরীরের অনেক অংশই কালো থাকে। যেমন নিতম্বের ভেতরের দিক, যৌনাঙ্গ এবং উরুর পেছনের দিক। এটি সম্পূর্ণ একটি ব্যাপার। এই নিয়ে কোনো লজ্জা অথবা ভয় পাবার কিছু নেই।
পল্লবী আরো একটি দিক থেকে সকলকে সাবধান করে দিতে চাইছেন। তিনি বলেছিলেন যে, গায়ের রঙের মতো যৌনাঙ্গের রং ফর্সা করার জন্য অনেক বাণিজ্যিক উপায় আছে কিন্তু সেই দিকে না যাওয়াই ভালো সকলের।
তারা বলেছেন যে, যে সমস্ত চলচ্চিত্র আমরা দেখি সেখানে অনেক সময় শরীরের এই সমস্ত অংশে মেকআপ করা থাকে। অথবা এডিটিং এর মাধ্যমে আমাদের কাছে ফর্সা করে তোলা হয় এই সমস্ত গোপনাঙ্গ।
কিন্তু সেই সমস্ত বাজারচলতি ওষুধ ব্যবহার না করাই ভালো। এই সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করলে অনেক সময় আমাদের যৌনাঙ্গে বের হতে পারে অথবা চিরস্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে। তাই তারা পরামর্শ দিয়েছেন যে মন থেকে যৌনাঙ্গ ফর্সা করার খেয়াল সরিয়ে রাখা উচিত।